• ঢাকা
  • রবিবার, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই মে, ২০২৪ ইং
সালথার আটঘর ইউপি নির্বাচনে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী যারা

আগামী ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ঘিরে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা আগে থেকেই জোড় তৎপরতা শুরু করেছেন। ইউনিয়নের সর্বত্রই এখন প্রার্থীদের পদচারনা শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ইউপি নির্বাচন ঘিরে আটঘর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুল হাসান খান সোহাগ, উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হারুন অর রশীদ, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মোঃ ফখরুজ্জামান (ওয়াসিম), আবু সালেহ মোঃ খসবু, মোঃ শাহজাহান মোল্যা, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক রাইসুল ইসলাম রিপন মিয়া ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দেবাশীষ মজুমদার নয়নের নাম শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও বিএনপি, জাকের পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন এর মনোনীত প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেন বলে জানা গেছে।

সোহাগ খান জানান, তিনি ১৯৭৮ ইং সালে আটঘর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোঃ লিয়াকত আলী খান ও মাতার নাম আছিয়া বেগম। তিনি ১৯৯৪ ইং সালে ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে এস.এস.সি পাশ করেন। এরপর ফরিদপুর ইয়াছিন কলেজে লেখা-পড়া করেন তিনি। লেখা-পড়া শেষ করে তিনি দীর্ঘদিন ব্যবসা করেছেন। ২০০৭ ইং সালে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি ও তার পরিবারের হাতধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু করেন। এরপর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (৩) নির্বাচিত হন। ২০১৬ ইং সালের ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়ে তিনি বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার দাদা মরহুম গোলাম আলী খান ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন।

আব্দুল ওয়াহাব মিয়া জানান, তিনি ১৯৬২ ইং সালে আটঘর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার হাজ্বী এনতাজ মোল্যা ও তছিরন নেছা। তিনি ১৯৮০ ইং সালে ফরিদপুর হাইস্কুল থেকে এস.এস.সি ও ১৯৮২ ইং সালে ফরিদপুর ইয়াছিন কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন। তিনি ১৯৮১ ইং সালে ইয়াছিন কলেজে ছাত্রছাত্রী সংসদে বিতর্ক সম্পাদক ৮২ ইং সালে কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৮৬ ইং সালে আটঘর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৮৭ ইং সাল থেকে ২০১৩ ইং সাল পর্যন্ত আটঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ফখরুজ্জামান ওয়াসিম জানান, তিনি ১৯৭৯ ইং সালে আটঘর ইউনিয়নের নকুলহাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আঃ লতিফ মিয়া ও মাতার নাম রেহানা বেগম। তার পিতা আঃ লতিফ মিয়া দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের ত্যাগী কর্মী ছিলেন। ৩বার ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে লতিফ মিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে আছেন। ফখরুজ্জামান ওয়াসিম ১৯৯৪ ইং সালে বিভাগদি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পাশ করেন। ১৯৯৬ ইং সালে ফরিদপুর সরকারী রাজেন্দ্র কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন। তিনি ১৯৯৫ ইং সালে রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ ব্যাপারী ও জিএস সোহেল রেজা বিপ্লবের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন। এছাড়াও ১৯৯৬ ইং সালে রাজেন্দ্র কলেজের ভিপি সোহেল রেজা বিপ্লব ও জিএস তৌাফক হোসেন পুচ্চির নেতৃত্বে ছাত্রলীগ করেছেন। এরপর সংসদ উপনেতার নির্দেশে ২০০৪ ইং সালে আটঘর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি নগরকান্দা উপজেলা যুবলীগের সদস্য ছিলেন। বর্তমানে উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

মোঃ খসবু জানান, তিনি ১৯৬৪ ইং সালে আটঘর ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোঃ নাজিম উদ্দিন মোল্যা ও মাতার নাম রোকেয়া নাজিম। তিনি ১৯৮১ ইং সালে ধোপাডাঙ্গা হাইস্কুল থেকে এস.এস.সি পাশ করেন। ১৯৮৩ ইং সালে ফরিদপুর ইয়াছিন কলেজ থেকে এইচ.এস.সি ও ১৯৮৭ ইং সালে সরকারী রাজেন্দ্র কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। ১৯৮০ ইং সালে ধোপাডাঙ্গা হাইস্কুল ছাত্রলীগের যুগ্ম আহব্বায়ক হিসেবে তিনি রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৮২ ইং সালে ইয়াছিন কলেজ ছাত্র সংসদের মাসুদ-মনির পরিষদে ম্যাগাজিন সেক্রেটারী নির্বাচিত হন। ১৯৮৫ ইং সালে রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। লেখা-পড়া শেষ করে বে-সরকারী বিমানে চাকুরী করেছেন। ২০১১ ইং সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি ও তার কনিষ্টপুত্র শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর হাতধরে এলাকায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছেন।

শাহজাহান মোল্যা জানান, তিনি ১৯৭২ ইং সালে আটঘর ইউনিয়নের আটঘর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুল মজিদ মোল্যা ও মাতার নাম মোসাঃ সামেলা বেগম। তিনি ১৯৯৬ ইং সালে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর হাতধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু করেন। বর্তমানে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর নির্দেশে এলাকায় রাজনীতি করে আসছেন। পাশাপাশি ঢাকায় ব্যবসা করেন। তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করেন।

ওয়াহিদুজ্জামান মোল্যা জানান, তিনি ১৯৭৮ ইং সালে আটঘর ইউনিয়নের সাড়–কদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা হানিফ মোল্যা ও মাতার নাম পিয়ারী বেগম। মুক্তিযোদ্ধা পিতার হাতধরে তিনি ১৯৯৬ ইং সালে আটঘর ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি নির্বাচিত হয়ে রাজনীতি শুরু করেন। ২০০১ ইং সালে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৮ ইং সালে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে এপর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী।

রিপন মিয়া জানান, তিনি ১৯৮৩ ইং সালে আটঘর ইউনিয়নের কাকিলাখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুর রাজ্জাক মিয়া ও মাতার নাম রাশিদা বেগম। তিনি ১৯৯৯ ইং সালে সাড়–কদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পাশ করেন।

তিনি পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের কর্মী। স্কুল জীবন থেকে ১৯৯৬ ইং সাল থেকে দীর্ঘদিন আটঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে আটঘর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

দেবাশীষ নয়ন জানান, তিনি ১৯৯০ ইং সালে আটঘর ইউনিয়নের জয়কাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০৬ ইং সালে বিভাগদি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পাশ করেন। তিনি ২০০৬ সাল থেকে সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির যাত্রা শুরু করেন। ২০১৪ ইং সালে সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠণিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৭ ইং সাল থেকে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি ফরিদপুর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা-পড়া করেন।

উল্লেখিত প্রাথীরা পৃথক পৃথকভাবে বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের কাছে তারা নৌকা প্রতীক চাইবেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে তারা নির্বাচন করবেন। আর দল যাকে মনোনয়ন দিবেন তার জন্য কাজ করবেন বলে জানান প্রার্থীরা।

## দুই মাসের শিশু ফাইয়াজের হৃদযন্ত্রে ছিদ্র, বাঁচাতে দরকার সাড়ে চার লাখ টাকা

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

মে ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« এপ্রিল    
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।