কে এম রুবেল, ফরিদপুর
খেলাঘর ফরিদপুর জেলা কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে আলতাফ মাহমুদকে সভাপতি ও আক্তারী জাহান ববীকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫৭ সদস্যের কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে।
এদিকে খেলাঘরের ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল ৩ অক্টোবর শনিবার বিকেলে শহরের কবি জসীম উদ্দীন হলে এ অনুষ্ঠানের আযোজন করা হয়।
অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল সম্মেলন, পুরস্কার বিতরণ, সম্মাননা প্রদান ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সম্মেলন শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে চারটি ক্যাটাগরিতে শিশুদের নিয়ে নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাংকন ও হাতের লেখা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১১০জন শিশুর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
ওই অনুষ্ঠানে খেলাঘরের ফরিদপুর সাবেক সভাপতি তপন বসু স্মৃতি পদক বিতরণ করা হয়। ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিন বছরে তিন ব্যাক্তিকে এ পদক প্রদান করা হয়। ২০১৯ সালে পদক পেয়েছেন খেলাঘরের সহ-সভাপতি আলেয়া হক, ২০২০ সালে এ পদক পেয়েছেন জেলা সিপিবির সভাপতি রফিকুজ্জামান এবং ২০২১ সালে যৌথভাবে পদক পেয়েছেন ফরিদপুর খেলাঘরের সাবেক সভাপতি আলী আকবর বিশ্বাস ও খেলাঘরের আঞ্চলিক সভাপতি আনোয়ারা নুরুন্নবী।
সব শেষে অনুষ্ঠিত হয় সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ওই অনুষ্ঠানে খেলা ঘরের শিল্পীরা সংগীত, নাচ পরিবেশন করে।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা খেলা ঘরের সভাপতি আলতাফ হোসেন। অতিথি ছিলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল হক ভোলা মাস্টার, খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রণয় সাহা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গত ৬৯ বছর ধরে খেলাঘর নিরলস ভাবে আবহমান বাঙালি সংস্কৃতির বিনির্মাণে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের চেতনায় শানিত হয়ে খেলাঘরের জন্ম। বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামে এবং মুক্তির সংগ্রামে খেলাঘরের ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধের পর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও খেলাঘর অগ্রণী সৈনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।