চীনের উহান শহরে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস দুই মাসের মধ্যেই বিশ্বের ৮০ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্তের খবর শোনা যায়নি। তবে এ দেশের আবহাওয়া করোনাভাইরাস বিস্তারে উপযোগী জানিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। এ খবরে বাংলাদেশে জনমনে করোনা নিয়ে আতঙ্ক বেড়ে গেছে। এদিকে আতঙ্কিত না হয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্ত-অনুরাগীদের সতর্কতামূলক পোস্ট দিয়েছেন সময়ের আলোচিত ইসলামি বক্তাগণ । প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া চাইতে বলে স্ট্যাটাস দিয়েছেন অনেকে। তারা বলেন,‘প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সহ বিভিন্ন প্রাণঘাতী রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে, প্রয়োজনীয় সতর্কতার পাশাপাশি নিচের এই দোয়াটি বেশি বেশি পাঠ করুন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে এই ভয়াবহ ভাইরাস থেকে হেফাজত করুক। اللَّهمَّ إِنِّي أَعُوُذُ
بِكَ مِنَ الْبرَصِ، وَالجُنُونِ، والجُذَامِ، ومن سّيءِ الأَسْقامِ
বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আ’য়ুজুবিকা মিনাল বারাছ, ওয়াল জুনুন, ওয়াল জুযাম, ওয়া মিন সায়্যিইল আসক্বাম।
বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ, আমি তোমার নিকট ধবল, কুষ্ঠ এবং উন্মাদনা সহ সব ধরনের কঠিন দূরারোগ্য ব্যাধি থেকে পানাহ চাই। [সুনান আবু দাউদ]’
প্রসঙ্গত, নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ২০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বব্যাপী মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩ হাজার ১৫৮ জন। এর ৯০ শতাংশই চীনের হুবেই প্রদেশে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডে মারা গেছে ২ হাজার ৯৮১ জন। চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৩২৮ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অন্যদিকে মারা গেছে ৩১ জন। চীনের পর সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ইরানে। সেখানে এখন পর্যন্ত ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৩৩৬ জন। ইরানে জেল থেকে ৫৪ হাজার কয়েদিকে মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায়। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালিতেই এই ভাইরাসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। সেখানে ২ হাজার ৩৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৫২ জন। ভাইরাসটি এশিয়া পেরিয়ে সুদূর আফ্রিকায় গিয়ে হানা দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে আতঙ্কে রূপ নেয়া নভেল করোনাভাইরাস বিষয়ে সুসংবাদ হলো, প্রাণঘাতী হলেও আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ৬৯১ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।