করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জাতির উদ্দেশ্য ভাষণ দিবেন ব্রিটিশ রাণী এলিজাবেথ
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে যুক্তরাজ্যে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এ মহামারী নিয়ে রোববার (৫ এপ্রিল) জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন দেশটির রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। এটি রোববার আন্তর্জাতিকমান সময় ১৯টায় (জিএমটি) টেলিভিশন, রেডিও এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একযোগে প্রচার করা হবে বলে জানিয়েছে বাকিংহাম প্যালেস। জাতির উদ্দেশে রানীর এমন সরাসরি ভাষণ খুবই বিরল।
৯৩ বছর বয়সী রানী এলিজাবেথ তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপের সঙ্গে এখন উইন্ডসর প্রাসাদেই অবস্থান করছেন। করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদে রাখতে রানীকে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে উইন্ডসরে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল ) দেয়া হিসাব মতে, দেশটিতে করোনার সংক্রমণে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ এ মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৬০৫ জনে পৌঁছেছে। আর আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ১৬৮ জনে। এদিকে স্কটল্যান্ডে মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ৪৬। ওয়েলসে নতুন মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে করোনায় মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ১২। নতুন আক্রান্তের সংখ্যা সম্প্রতি কমতে শুরু করলেও তা কমছে খুব সামান্যই।
ইতোমধ্যেই রানীর ভাষণটি উইন্ডসর প্রাসাদে রেকর্ড করা হয়েছে। প্রতিবছর শুধু বড়দিনের বার্তা দিতেই টেলিভিশনে রানীর ভাষণের রেকর্ড সম্প্রচার করা হয়। তবে এবার করোনা সংকটের কারণে রানী যুক্তরাজ্য এবং কমনওয়েলথের উদ্দেশে এ বিশেষ ভাষণ দিতে চলেছেন। এর আগে গত মাসে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১৪৪-এ পৌঁছানোর পর রানী চলমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিবৃতি প্রদান করেন। তাতে তিনি বলেন, ‘দেশ এক উৎকণ্ঠা আর অনিশ্চয়তার সময় পাড়ি দিতে চলেছে।’ এ সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য তিনি চিকিৎসক এবং জরুরি সেবা কর্মীদের প্রশংসাও করেন।
জাতির এ সংকটকালে আজ রানী চতুর্থবারের মতো বিশেষ ভাষণ দেবেন। এর আগে রানী ২০০২ সালে তার মায়ের মৃত্যুর সময়, ১৯৯৭ সালে প্রিন্সেস ডায়ানার শেষকৃত্যের সময় এবং তারও আগে ১৯৯১ সালে প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় এমন বিশেষ ভাষণ দিয়েছিলেন।
এছাড়াও, ২০১২ সালে রানী তার শাসনকালের হীরকজয়ন্তী পালনের সময়ও টেলিভিশনে ভাষণ দেন।