করোনাভাইরাস মহামারি সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন চলছে রাশিয়ায়। সংক্রমণ রোধে ‘অ্যান্টি-ভাইরাস’ প্যাকেজ আইনের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট। কোয়ারেন্টিন নিয়ম লঙ্ঘন হলে ওই আইনে সাত বছরের কারাদণ্ডেরও বিধানও রয়েছে।
মানুষের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে মস্কো শহরে ১০ হাজার ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব রুখতে এবার রাশিয়া লকডাউনে যাতে নাগরিকরা বাইরে বের হতে না পারেন এজন্য সর্বশেষ ক্যামেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।
দেশটির নগর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মানুষের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে মস্কো শহরে ১০ হাজার ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে ক্যামেরায় ফেসিয়াল রিকগনিশন সফ্টওয়্যার ইনস্টল করা হয়েছে। যা লোকজনের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংযোগ করা থাকবে। যারা কোয়ারেন্টাইন ভঙ্গ করে বের হয়, সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশের কাছে তাদের তথ্য চলে যায়। মস্কোর বিভিন্ন ভবনের প্রবেশ পথে এই ক্যামেরাগুলো লাগানো হয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেই লকডাউন চলাকালীন সময়ে পুরো বিষয়টি মনিটরিং করছেন।
মস্কোর এক বাসিন্দা জানান, তিনি ময়লা ফেলার জন্য একটু সময়ের জন্য বের হয়েছিলেন। ময়লা ফেলে ঘরে যাওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যেই তার ঘরের দরজা পুলিশ হাজির হয়। আমি মনে করি, অনেক দেশ এই প্রযুক্তিটি ব্যবহার করতে পারে, কারণ পদ্ধতিটি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দ্রুত কার্যকর।
শুক্রবার (৩ এপিল) পর্যন্ত রাশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১৪৯ জন। মারা গেছেন ৩৪ জন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইউরোপের দেশগুলো চরম সংকটের মধ্যে রয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী রাশিয়ায় কার্যত আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক কম। বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি উপলব্ধি করেই দেশজুড়ে লকডাউন জারি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পুতিন জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে সপ্তাহব্যাপী বেতনসহ ছুটি ঘোষণা করেছেন।
সূত্র: বিবিসি