• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা মে, ২০২৪ ইং
ফরিদপুরের নগরকান্দার ৯ ইউপিতে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ প্রার্থীদের

ফরিদপুর প্রতিনিধি:  দেশের চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ২য় ধাপের নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ৯ ইউনিয়নে বইছে নির্বাচনী উৎতাপ। সকাল থেকে মধ্যে রাত অবধি চলছে জোর প্রচার প্রচারনা। তবে নির্বাচনী প্রচারে থাকা প্রার্থীরা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ শুধু মুখে নয় সরাসরি সেই ঘটনা গুলো তারা জানিয়ে চলছেন প্রশাসনকে। এছাড়া কোথাও কোথাও মামলা হয়েছে এই সব ঘটনা নিয়ে।

তালমা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কামাল হোসেন বলেন, নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর লোকজন এভাবে আধিপত্য চালালে আমরা নির্বাচন করবো কিভাবে? তারা (নৌকা) চাচ্ছে আমরা তাদের হামলার ভয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়াই। কিন্তু ওদের আশা পূরণ হবে না। আমাকে ও আমার সমর্থকদের উপর যতই হামলা, মারধর করা হোক আমি জীবিত থাকতে নির্বাচন থেকে সরবো না। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার বাবা দীর্ঘদিন এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। আমার মা বর্তমান চেয়ারম্যান হিসাবে রয়েছেন। আমার পরিবার আওয়ামী পরিবার। আমি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় প্রতিপক্ষের লোকজন আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। তারা আমার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও একাধিকবার হামলা করতেছে। আমার লোকজনকে পিটিয়ে আহত করেছে। তিনি বলেন তারা আমরা জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়ে এমনটি করছে। এসব বিষয় তুলে ধরে আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমার আইনের প্রতি অগাধ আস্হা ও বিশ্বাস রয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে এইসব ঘটনায় নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর সাথে থেকে একটি তৃতীয় পক্ষ ঘটনাকে উসকে দিয়ে এসব ঘটাচ্ছে বলে তিনি মনে করছেন।

রামনগর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতিকের কাইমদ্দিন মন্ডল বলেন, নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর লোকজন আমার প্রচারনায় বাধা দিচ্ছে। আমি যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই আমাকে ভোট চাইতে দিচ্ছে না। বুধবার সন্ধ্যায় তাদের লোকজন আমাকে ভোটের মাঠে কাজ করতে দেইনি। এ ঘটনায় আমি প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দিব।

অপরদিকে চরযশোরদী ইউনিয়নের নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মোঃ কামরুজ্জামান (সাহেব ফকির) বলেন, আমার বিপক্ষের প্রার্থী আরিফুর রহমান পথিক আমার নির্বাচনী কাজে বাধা দিচ্ছে। তার সমর্থকরা আমার পোষ্টার ছিড়ে ফেলে। এই সব ঘটনা তারা করে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দেয়। তিনি বলেন এবারের ভোটে আমি আশা করছি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো। আমি যদি বিজয়ী হতে পারি তাহলে এই ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নে পরিনত করবো।

কোদালিয়া শহীদ নগরের নৌকা প্রতিকের প্রার্থী নিলু বলেন, আমি নিজের প্রচার প্রচারনা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। এদিকে বুধবার রাতে স্বতন্ত্র এক প্রার্থীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনাকে আমার সাথে জড়িয়ে প্রচার করা হচ্ছে আমার সমর্থকরা নাকি সেটি করেছে যা মোটেও সত্য নয়। তিনি বলেন এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করলে আমার বিশ্বাস সঠিক বিষয়টি বেরিয়ে আসবে।

এভাবে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মধ্যে দিয়ে নগরকান্দার ৯টি ইউনিয়েেন চলছে প্রচার প্রচারনা। এখানে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছাড়াও নয়টি ইউনিয়নের ৮টিতে রয়েছে এক বা একাধিক আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী। দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রার্থীদের প্রচারনার জন্য চলছে মাইকিং। চায়ের দোকানে চলছে ভোটারদের আড্ডা। চারিদিকে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রার্থীদের পদচারনা এখন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। এরমধ্যে কোথাও কোথাও ঘটেছে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা। মামলা, অভিযোগ ও জিডি হয়েছে বেশ কিছু ঘটনা নিয়ে।

এমন উৎতপ্ত পরিবেশে প্রশাসন নির্বাচনকে সুষ্ঠু সুন্দর ও নিরপেক্ষ করতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্হা নিয়েছেন বলে প্রার্থীদেরকে আশ্বস্ত করেছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে যা যা করা দরকার, তার সব ব্যবস্হাই গ্রহন করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ও পুলিশ সুপার মোঃ আলিমুজ্জামান।

উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ৪৫ জন প্রার্থী। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৮১ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৭২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এবারের নির্বাচনে নয় ইউনিয়নে ১লাখ ৪৫ হাজার ২শত ৩২ জন ভোটার রয়েছে বলে উপজেলা নির্বাচন অফিস জানিয়েছেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

মে ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« এপ্রিল    
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।