• ঢাকা
  • শনিবার, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মে, ২০২৪ ইং
ফরিদপুরে সরকারি জায়গা রক্ষা করতে গিয়ে কৃষি কর্মকর্তা লাঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ

নিরঞ্জন মিত্র (নিরু) ( ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি)

ফরিদপুরে সরকারি কৃষি বিভাগের জায়গা রক্ষা করতে উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা লাঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায় যে, ফরিদপুর শহর অন্তগত মুন্সিবাজার সংলগ্ন ৯৭ নং কাফুরা মৌজাার বিএস ৩ নং খতিয়ানে, ৩৪৬ নং দাগে ১০ শতাংশ জমি বাংলাদেশ সরকার পক্ষে কৃষি বিভাগের নামে রের্কড ভুক্ত আছে। উক্ত জায়গায় গত ৩ এপ্রিল রবিবার অবৈধ ভাবে স্থাপনা নির্মাণের জন্য ওই এলাকার শেখ আলীমদ্দিন সহ তার ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে সরকারি জমি দখলের জন্য জমি পরিমাপের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলো।

সরকারি জমি রক্ষা করতে উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আবুল বাসার মিয়ার নির্দেশে উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ ইউসুফ আলী সেখ সহ দুইজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে নিয়ে ঘটনা স্থলে যায়। এসময় জমি পরিমাপকারী স্থানীয় আমিন নূর মোহাম্মদ মাজেদকে কৃষি বিভাগের নামে ১০ শতাংশ জমি আছে বলে জানান। এসময় শেখ আলীমদ্দিন ও তার ভাড়াটিয়া লোক ২১ নং কাউন্সিলর মোঃ মোবারক খলিফা সহ লোকজন দিয়ে কৃষি কর্মকর্তাদের অশ্লীল ভাষায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ শারীরিক লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আবুল বাসার মিয়া জানান, সরকারি দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় সরকারি জমি স্থাপনা নির্মানে বাধা প্রদান করায়, শেখ আলীমদ্দিন গং কতৃক সন্ত্রাসী দিয়ে কতিপয় কর্মকর্তাদের লাঞ্চিত করা। বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখ জনক ব্যাপার বলে মনে করি। আরো জানান, শুকুর জান খাতুনের তিন ছেলে নাবালক থাকায় ১৯৭৯ সালে ১০ শতাংশ জামি তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের কৃষি পরিচালনা দপ্তরের পাট উৎপাদন কার্য্যস্থান কৃষি বিভাগ নামে ২৩/৪/১৯৭৯ সালে ৪০৬৬ নং খোস কবলা মূলে দলিল হয়। পরে কৃষি বিভাগের নামে বিএস খতিয়ান সৃজন করা হয়। সব কাগজপত্র কৃষি বিভাগের নামে থাকার পরও সুকৌশলে জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করার পায়তারা করে আসছে আগে থেকেই ।

এব্যাপারে সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ ইউসুফ আলী সেখ বলেন, আমাকে শেখ আলীমদ্দিন এর ভাড়াটিয়া লোক কাউন্সিলর মোঃ মোবারক খলিফা শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে। পরিস্থিতি দেখে স্থানীয় আমিন নূর মোহাম্মদ মাজেদ আমাকে ও আমার সহকর্মীদের নিরাপদে ফিরে যাবার ব্যাবস্থা করেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মুন্সিবাজার বিদ্যালয় সংলগ্ন সরকারি জমিতে স্থাপনা নির্মান কাজ শুরু করেছিল। এখন স্থাপনার কাজ বন্ধ আছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অনেক বছর আগে বিদ্যালয়ের পাশে পরে থাকা সরকারি কৃষি বিভাগের জমি। এই গ্রামের শেখ আলীমদ্দিন ও তার একদল লোকজন নিয়ে জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মান কাজ করেছিল। তারা কোন সরকারি অনুমতি নেননি।ু

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

মে ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« এপ্রিল    
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।