হতদরিদ্র কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে ফরিদপুর জেলা কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বসুনরসিংহদিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের এক একর জমির ধান কাটে দেন তারা। এতে হতদরিদ্র কৃষক পরিবার কৃষকলীগের নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
কয়েকদিন আগেই ক্ষেতের পাকা ধান কাটার উপযুক্ত হয়। করোনাভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দেওয়ায় তিনি ধান কাটতে পারছিলেন না। বিষয়টি জানার পর জেলা কৃষকলীগের নেতারা তার ক্ষেতের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে। এতে কৃষক ও তার পরিবার ভীষণ খুশি।
জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ প্রদীপ কুমার দাস লক্ষন বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারাদেশ লকডাউনে রয়েছে, বন্ধ রয়েছে গনপরিবহনও, ফলে কৃষকেরা তাদের ধান কাটার জন্য কোন দিনমজুর পাচ্ছে না। সাধারণত দুর দুরান্ত থেকে আমাদের এখানে ধান কাটার জন্য লোকজন আসে কিন্তু এখন সম্ভব হচ্ছে না। কৃষকের যাতে কষ্ট না হয়, ধান যাতে নষ্ট না হয় সে কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ কৃষকলীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপির আদেশক্রমে এবং আধুনিক ফরিদপুরের রুপকার সদর ৩ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি এর সার্বিক তত্বাবধানে বাংলাদেশ কৃষকলীগ ফরিদপুর জেলা শাখার আয়োজনে আজ আমরা কানাইপুর ইউনিয়নের এই গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলামের এক একর জমির ধান কেটে দিয়েছি। কারণ তিনি দরিদ্র চাষি হওয়ার কারণে ধান কাটতে পারছিলেন না। তার ধান পেকে ক্ষেতেই পড়ে যাচ্ছিল। তাই আমরা তার সহযোগিতার জন্য এগিয়ে এসেছি। ভবিষ্যতে এ সহযোগিতা অব্যাবহ থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, দপ্তর সম্পাদক এ্যাডঃ সুজিত কুমার রায়, জেলা কৃষকলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক শৈলেন কুমার বিশ্বাস, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক সবিতা বৈরাগী, জেলা কৃষকলীগের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আনন্দ কুমার ঘোষ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন আহমেদ, আলীয়াবাদ ইউনিয়ন কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক নেয়ামত আলী ভুঁইয়া, এ্যাডঃ সুচিত্রা সিকদার, সঞ্জয় দাস, দেবু সাহাসহ বেশকিছু নেতা-কর্মী।
কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগেই আমার ক্ষেতের ধান পাকছে কিন্তু দিনমজুরের অভাবে ধান কাটতে পারছিলাম না। ভাবতে পারছিলাম না কি করবো? আজ জেলা কৃষকলীগের নেতা কর্মীরা আমার ১ একর জমির ধান কেটে বাড়ি পৌছে দিয়ে যে উপকার করেছেন তা ভুলবার নয়। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।