আসন্ন ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন লাভের উদ্দেশ্যে ১৮ জন আবেদন করেছেন। এদের মধ্যে বর্তমান মেয়র মেথুর নাম বাদ দিয়ে ১৭ জনের একটি তালিকা কেন্দ্রে পাঠিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে, বিএনপি হতে এ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য পাঁচজন দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সুপারিশকৃত ১৭ জন হলেন, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার মঞ্জুর আলী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খলিফা কামালউদ্দিন, কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সাবেক সদস্য সাইফুল আহাদ সেলিম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ফারুক হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম নীরু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক শাহ আলম মুকুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মনিরুল হাসান মিঠু, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভী মাসুদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ঝর্ণা হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অমিতাভ বোস, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অনিমেষ রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জিয়াউল হাসান মিঠু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদ, রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্রওছাত্রী সংসদ রুকসুর সাবেক জিএস রাশেদুজ্জামান রেশাদ, রুকসুর সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক জামালউদ্দিন কানু, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন ও জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শাহ ইসতিয়াক আরিফ।
অপরদিকে, বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন পাঁচজন। এরা হলেন, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, শহর যুবদলের সভাপতি বেনজির আহমেদ তাবরীজ, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আফজাল হোসেন খান পলাশ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক একে কিবরিয়া স্বপন ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এএফএম কাইয়ুম জঙ্গি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন বলেন, সম্প্রতি শহর আওয়ামী লীগের সুপারিশের ভিত্তিতে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১৩ জনকে বহিস্কারের সুপারিশ পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রে যার মধ্যে মেথুর নামও রয়েছে। এজন্য তার নাম সুপারিশ করা হয়নি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মাহতাব আলী মেথু বলেন, কখনোই তিনি ওই দুটি দলের কোন পদে ছিলেন না। জেলা আওয়ামী লীগে আলোচনা ছাড়াই ১৩ জনের বহিস্কারের সুপারিশ করা হয়েছিল তার কোন কার্যকরিতা নেই।
শহর বিএনপির সভাপতি গোলাম মোস্তফা মিরাজ জানান, যে পাঁচজন দলীয় প্রার্থী দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তাদের তালিকা আমরা কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিয়েছি।
প্রসঙ্গত দীর্ঘ নয় বছর পর ১০ ডিসেম্বর ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠানের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। মেয়র, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৯ জন কাউন্সিলর ও সাধারণ ওয়ার্ডের ২৭ জন কাউন্সিলর পদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৫ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১৭ নভেম্বর আর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৩ নভেম্বর।
১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ফরিদপুর পৌরসভায় বর্দ্ধিত এলাকার সমন্বয়ে ৬৬ দশমিক ৫৪ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বর্তমানে ২৭টি ওয়ার্ড রয়েছে। ২০১৯ সালের হালনাগাদ ভোটার তালিকা অনুযায়ী এখানে ভোটার সংখ্যা রয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭১ হাজার ৭৮৬ এবংনারী ৭৬ হাজার ৫৭১ জন।
সর্বশেষ ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ফরিদপুর পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফরিদপুর পৌরসভাকে সিটি কর্পোরশেন ঘোষণা করা হবে এমন একটি উদ্যোগের কারণে গত ২০১৬ সালে ফরিদপুর পৌরসভার নির্ধারিত নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
