• ঢাকা
  • রবিবার, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই মে, ২০২৪ ইং
সালথায় ব্রিজের সংযোগ সড়কে ধস, ঝুঁকি নিয়ে চলছে শতশত যানবাহন

মনির মোল্যা, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের সালথার বুড়িদিয়া-খোয়াড় সড়কের মালঞ্চ বিলের ওপর সেতু হওয়া এ অঞ্চলের জনগণের বহুল কাঙ্খিত ছিল। প্রায় ১০ বছর আগে এই নদীর উপরে নির্মাণ করা হয় একটি সেতু। তবে সেতু থাকলেও সংযোগ সড়কের বেহাল দশার কারণে এর সুফল পাচ্ছে না স্থানীয় বাসিন্দারা। সেতুটির সংযোগ সড়ক দিয়ে যান চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচল করাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারী ও এলাকাবাসীর চলাচলে দুর্ভোগের শিকার হলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এভাবেই চলছে প্রায় ৬-৭ বছর। এতে ওই পথ দিয়ে চলতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সালথা উপজেলার আটঘর ও গট্টি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বুড়িদিয়া ও খোয়াড় গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে মালঞ্চ বিল। বিলের ওপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক যান চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় দুই ইউনিয়নের গৌড়দিয়া, গোয়ালপাড়া, গোবিন্দপুর, সেনহাটি, খোয়াড়, বুড়িদিয়া, নারায়ণপুর, সিংহপ্রতাপ, মেম্বার গট্টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কৃষকরা তাদের পণ্য মাথায় নিয়ে বাজারজাত করছেন। এছাড়া সালথা সদরে কোন পন্য নিতে হলে ৬ থেকে ৭ কিলো. ঘুরে যেতে হচ্ছে । এতে করে বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। তাছাড়া শতশত শিক্ষার্থীকে পায়ে হেঁটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে।

সেতু সংলগ্ন সিংহপ্রতাপ স্কুলের সহকারী শিক্ষক খোয়াড় গ্রামের বাসিন্দা রাজিয়া খানম বলেন, ৬-৭ বছর ধরে রাস্থা বেহাল দশার কারণে এই সেতুর উপর দিয়ে কোন গাড়ি চলাচল করতে পারে না। আমাদের স্কুলের ছেলে-মেয়েদের পায়ে হেঁটে স্কুলে আসতে হয়। এতে অনেক সময় তারা সঠিক সময়ে স্কুলে আসতে পারে না, এতে লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে।

সিংহপ্রতাব গ্রামের মো. কুদ্দুস মাতুব্বর বলেন, সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় আমাদের চলাচলে চরম অসুবিধা হচ্ছে। কৃষিপণ্য ও বিভিন্ন মালপত্র আনা নেওয়ায় সালথা উপজেলা সদরে যেতে হলে অন্য রাস্থা দিয়ে পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়।

এ বিষয়ে গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান লাবলু বলেন, সেতুটির সংযোগ সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে কয়েক গ্রামের মানুষের কষ্টের যেন শেষ নেই। চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।যানবাহন তো দূরে থাক পায়ে হেঁটে মানুষ চলতে পারে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি একাধিকবার। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

স্থানীয় আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শহীদুল হাসান খান সোহাগ বলেন, জনগণের জন্য সেতুটি নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সংযোগ সড়কের বেহাল দশার কারণে মানুষের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে সালথা স্থানীয় সরকার বিভাগের সালথা উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু জাফর বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ওই সেতুর সংযোগ সড়ক দ্রুত মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

মে ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« এপ্রিল    
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।