স্বেচ্ছাসেবী টেকনোলজিস্টদের নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, করোনা মহামারিতে যে সকল স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, তাদের সবাইকে পর্যায়ক্রমে সরকারিভাবে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
স্বেচ্ছাসেবী টেকনোলজিস্টদের সরকারি নিয়োগের আওতায় আনার ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিষদ (বিএমটিপি)। সাধারণ টেকনোলজিস্টরা এ খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেন।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আশিকুর রহমান বলেন, করোনায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে জীবন বাজী রেখে রোগীর নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার কাজে এগিয়ে না আসলে স্বাস্থ্যখাতের অনেক ক্ষতি হতো।
স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা এগিয়ে না আসলে করোনা মহামারিতে গড়ে প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৬ হাজার নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হতো না। তাই সকল স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা রাজস্বখাতে স্থায়ী নিয়োগের দাবি রাখে। তিনি স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে স্বাগত জানান।
ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ১৪৫ জন স্বেচ্ছাসেবক মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রাজস্ব খাতে নিয়োগের আওতায় আসে।
উল্লেখ্য, ‘ঝুঁকিতেই ভবিষৎ সুরক্ষা দেখছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা’- এই শিরোনামে গত ৭ জুলাই মঙ্গলবার একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক সময়ের আলো। ওই প্রতিবেদনের দুইদিন পর সরকার প্রধানের কাছ থেকে এমন ঘোষণা আসল।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের স্বাস্থ্য পরিচালকসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল ব্যক্তির বক্তব্য তুলে ধরা হয়।
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের ব্যাপারে আশ্বস্ত করে জানান, ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা সবাইকে ক্রমান্বয়ে সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হবে।