সাধারণ ছুটি আরও একধাপ বাড়তে পারে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ ছুটি আরেক ধাপ বাড়তে পারে। যা আরও এক সপ্তাহ কিংবা তার বেশি সময় হতে পারে। করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি একেবারে শূন্যের কোঠায় না আসা পর্যন্ত, কিংবা সংক্রমণ রোধ ও মানুষের ব্যাপক মৃত্যুঝুঁকি থেকে সুরক্ষা না হওয়া পর্যন্ত এ ছুটি বাড়াতে পারে সরকার। যেকোনো সময় এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।
তবে ছুটি বাড়ানো হবে কিনা তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর নির্ভর করছে। এর আগে করোনাভাইরাস থেকে রক্ষায় দেশবাসীকে একমাস ধৈর্য নিয়ে বাসাবাড়িতে থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন সরকার প্রধান।
এদিকে ছুটি বাড়ানো হবে কিনা এ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন জানান, ‘এ বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। প্রস্তাবনাও যায়নি। সঠিক নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হবে কিনা এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’
সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সাধারণ ছুটি কাজে দিয়েছে। জনগণও বাসাবাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। সরকারের দ্বিতীয় দফায় ঘোষিত ছুটি শেষ হবে ১৪ এপ্রিল। এ সময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পুরোপুরি রোধ করা না গেলে সেই ছুটি আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হতে পারে। কারণ ছুটি বাড়ানো না হলে আবারো বাসাবাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়বে মানুষ। তখন তাদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। কর্মস্থলে কোলাহল, রাস্তাঘাট, যানবাহন, কলকারখানা, অফিস আদালতে জনগণের জমায়েত সৃষ্টি হবে। এতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা আরও কঠিন হয়ে পড়বে। তাই পরিস্থিতি বিবেচনা করে যেকোনো সময় আরও এক সপ্তাহের ছুটির ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান, মন্ত্রিসভার সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ প্রায় সব মহলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
পরে তা দ্বিতীয় দফায় ৪ এপ্রিল থেকে বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। যা চলমান রয়েছে।