ফরিদপুরে গত ২৪ ঘন্টায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, চিকিৎসক ও সাত পুলিশ সদস্য এবং ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আরও ৫২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে ফরিদপুর জেলায় করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৫১জন।
বুধবার রাতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইসাহাক মোল্লা (৫৫)। তিনি ভাঙ্গা উপজেলা সদরের কাফারিয়া সদরদী মহল্লার বাসিন্দা।
নতুনকরে শনাক্তের মধ্যে রয়েছে এক নারী পুলিশসহ সাত জন পুলিশ সদস্য। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছে এক পুলিশ সদস্যের স্ত্রী। আক্রান্ত হয়েছেন সোনালী ব্যংকের এক কর্মকর্তা। এছাড়া ফরিদপুরের শিশু হাসপাতালের এক চিকিৎসকের করোনাভাইরাস সনাক্ত হয়েছে।
ফরিদপুরে নতুন করে যে ৫২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে ভাঙ্গায় ২৩, সদরে ১৫, বোয়ালমারীতে ১০ এবং চরভদ্রাসন ও সালথায় ২জন করে। আক্রান্তদের মধ্যে ১৯ জন নারী ও ৩৩ জন পুরুষ।
ফরিদপুরে নতুন করে যে ৫২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তার মধ্যে ৫ থেকে ২০ বছরের বয়সী রয়েছে ৬ জন, ৪১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আছেন ১৯ জন এবং ৬০ বছরের উর্ধে আছেন ৪ জন। এর মধ্যে ৯০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ রয়েছেন। তার বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার একটি গ্রামে।
ফরিদপুরের করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব সূত্রে জানা গেছে বুধবার ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জের মোট ২৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মোট পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ৮৪ জনের। এর মধ্যে ফরিদপুরে ছয়জন পুরনোসহ ৫৮ জন, এছাড়া রাজবাড়ীর দুই এবং ফরোআপসহ গোপালগঞ্জের ২৪।
গত বুধবার পর্যন্ত ফরিদপুরে মোট শনাক্ত ৬৫১ জনের মধ্যে ভাঙ্গায় ১৬৫ জন, ফরিদপুর সদরে ১৬৪ জন, বোয়ালমারীতে ১০০ জন, চরভদ্রাসনে ৫০, নগরকান্দায় ৪৫ জন, সদরপুরে ৪৪, আলফাডাঙ্গায় ৩৮, সালথায় ২৬ জন এবং মধুখালীতে ১৯ জন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, ভাঙ্গা, ফরিদপুর সদর, বোয়ালমারী, সালথাা ও চরভদ্রাসনে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে যে ৫২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তাদের প্রত্যেকের বাড়ি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, আক্রান্তদের আপাতত বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে। তবে শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে তাদের ফরিদপুরের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে স্থনান্তর করা হবে।