• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
তারাকান্দায় মৎস্য চাষীদের কারণে ক্ষতি হচ্ছে সরকারী ও জনপদের রাস্তা

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা কৃষি নির্ভর একটি উপজেলা। মৎস্যখাতে এই উপজেলার আয় বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার মত। কিন্তু বাস্তবতা এখন এ পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে রাস্তা লাগোয়া অপরিকল্পিত ফিশারিগুলো পাড় হিসেবে ব্যবহার করছে সরকারী ও জনপদের রাস্তাগুলোকে। প্রতিনিয়ত ভাঙ্গনের স্বীকার রাস্তাগুলোতে,বছর না পেরোতেই সংস্কারের প্রয়োজন দেখা দেয়। অনেকে আবার ফিশারির পানি নিস্কাশনের জন্য ব্যবহার করে রাস্তাগুলো।

গত কয়েকদিন আগে এমন একটি কার্যক্রম স্বশরীরে প্রত্যক্ষ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস। তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে বন্ধ করেন ধ্বংসাত্নক কার্যকলাপ।

মৎস্য চাষীরা সরকারি রাস্তাগুলো বেড়ি হিসেবে ব্যবহার করলেও তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি কোনো আইনগত ব্যবস্থা। উপজেলা বাস্তবায়িত হওয়ার পর থেকে প্রশাসনর পক্ষ থেকে কোন উদ্দ্যােগ নেওয়া হয়নি।

রদবদলের পালা ক্রমে একাদিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নজরে আসেনি বিষয়টি। সদ্য যোগদারকারী তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস ইতি মধ্যে বিষয়টি আমলে নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করলে দেখতে পান কামারগাঁও ইউনিয়নে চকনাপাড়া সড়কের রাজধারীকেল পর্যন্ত অপরিকল্পিত ভাবে মৎস্য চাষীরা সরকারী রাস্তা ব্যবহার করে গড়ে তুলে ফিশারি।

এতে মৎস্য চাষীরা সরকারী কোন নিয়মনীতি তুয়াক্কা না করেই গড়ে তুলেছে ফিসারী। উপজেলা প্রতিটি ইউনিয়নেই রয়েছে ওই সমস্যা। রাস্তার পাশে আলাদা বেড়ি করার নিয়ম থাকলেও তা কেউই মানছে না। বেড়ি হিসাবে সরকারী রাস্তা ব্যবহার করাই উপজেলা প্রধান সড়কসহ গ্রামীন পাকা ইটের সড়কগুলো হুমকির মুখে পড়ছে।

এদিকে সরকারি রাস্তার পাশে ফিসারীর বেড়ি হিসেবে ব্যবহার ও সরকারি খালের পানি নিস্কাশন পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারণে উপজেলায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে একদিকে বিল -জলাশয়গুলোতে আবাদকৃত আউশ/আমন আবাদ চাষে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল্লাহ খন্দকার জানান, প্রতি বছর সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে গ্রামীন অবকাঠামো অবহেলিত রাস্তা পাকা করণ করা হয়। কিন্তু মৎস্য চাষীরা পাকা সড়কগুলোকে পুকুরের পাড় হিসেবে ব্যবহার করার কারণে প্রতি বছর পাকা রাস্তাগুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে। সরকারী রাস্তা পুকুরের পাড় হিসেবে ব্যবহার করার কোন বিধান নেই ।

ইতি মধ্যে প্রসাশনের ফেসবুক আইডি থেকে জানানো হয় যে, উপজেলাধীন সকল সরকারী রাস্তার পার্শ্ববর্তী পুকুরের পাড় নিজের ভূমির উপর করতে হবে। যে সকল পুকুরের পাড় সরকারী রাস্তার পাশে রয়েছে সে সকল পুকুরের পাড় দ্রুত অপসারণ করে নিজের ভূমিতে স্থানান্তর করার জন্য বলা হলো। এছাড়া, যত্রতত্র নীতিমালা বহির্ভূতভাবে ফিশারি করে জলাবদ্ধতা তৈরি করে জনগণের ভোগান্তি তৈরি করা যাবে না। এ ধরনের অপরাধ করা হলে দণ্ডবিধি ১৮৬০ অনুযায়ী গণউপদ্রব সৃষ্টির কারণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে শাস্তি প্রদান করা হবে।

এই ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

ডিসেম্বর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« নভেম্বর    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।