• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা মে, ২০২৪ ইং
নবাবগঞ্জের দাউদপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ৫৬ হাজার মানুষ সেবা বঞ্চিত

কোনো প্রকার স্বাস্থ্য সেবা মিলছেনা দাউদপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ১ জন এম,বি,বিএস ডাক্তার,১ জন মেডিকেল এসিস্টেন্ট,১ জন ফার্মাসিস্ট, ১ জন নার্স , ১ জন পিয়ন, ১ জন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা আর ১ জন আয়া কাগজে কলমে কর্মরত রয়েছেন এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৫৬ হাজার নারী-পুরুষ, শিশু ও কিশোর-কিশোরীর চিকিৎসা সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে ৭নং দাউদপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়।

নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে ঔষধ সল্পতা, দায়িত্বরতদের কর্তব্যে অবহেলা, নিজ খেয়াল খুশি মত স্বাস্থ্যকেন্দ্র খোলা ও বন্ধ করা, সেবা নিতে আসা রোগীদের সাথে রূঢ় আচরণ, অশালীন মনোভাব,দায়সারা সেবা প্রদানের মধ্যদিয়ে এবং সরকারী নীতিমালা ভঙ্গের মহোৎসব চললেও রহস্য জনক কারণে খোঁজ নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ডাক্টার- নার্স এবং পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা কখন,কোন দিন আসেন কে জানে! চেনেই না সেবা প্রত্যাশীরা। তারা চেনে শুধু পিয়ন(নিয়োগ ছাড়া প্রক্সি) আর আয়া পদে কর্মরত মহিলা মোছাঃ বিলকিস বেগমকে।

সরকারিভাবে দায়িত্ব পাওয়া ডাক্তার- নার্স ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা কোথায় থাকেন জানেন না রোগীরা। সেবা নিতে আসা উত্তর মুরাদপুর গ্রামের রোগী মোছাঃ জমিলা বেওয়া(৬৭), মোছাঃ আকলিমা (৫৩), মোছাঃ জাহেদা বেগম(৪৮) জানান,আমরা যেদিনই ঔষধ নিতে আসি সেদিনই ডাক্তার থাকেননা,ঔষধ থাকেনা,পিয়নের কাছে গ্যাস আর জ্বরের বড়ি চেয়ে নিয়ে বাড়ী ফিরে যাই । ডাক্তার নাই, পিয়ন অফিস খুলে ঔষধ নিয়ে বসে থাকে, ডাক্তারের খোঁজ করলে আয়া বিলকিস বেগম বলেন, ডাক্তার নবাবগঞ্জে আছেন, ওখানে যান।

মালদহ গ্রামের তছলিম উদ্দিন (৬২), আব্দুল আলীম(৪৭),মোছাঃ পেয়ারা বেগম(৪৫),মনিরামপুর গ্রামের মোছাঃ ছামিনা বেওয়া(৫৫) জানান, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা না পাওয়ায় রোগী আসা কমে গেছে, যে সকল রোগীরা না জেনে হঠাৎ আসে, জানার পরে তারাও পরবর্তীতে আর আসে না।

সরকারি কোয়ার্টার থাকলেও থাকেননা ডাক্তার। নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত এক কর্মচারীর বোন-জামাই দীর্ঘদিন যাবৎ থাকছেন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সরকারি কোয়ার্টারে। ৫৬ হাজার জনগনের সেবার দায়িত্ব যাদের উপর ন্যাস্ত তারা, শুধুই কাগজে কলমে। বাস্তবে তারা বাসায় ও চায়ের দোকানে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করছেন বছরের পর বছর।
এসব অনিয়মের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর,এম,ও ডাঃ কাফা জানান, মহামারী করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধকল্পে সারা দেশের ন্যায় উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলোতে এক দিন পর পর সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ফার্মাসিস্টের পদটি দীর্ঘদিন ধরে খালি আছে। এম,বি,বি,এস ডাঃ মহিলা, গর্ভবতী হওয়ায় তিনি ছুটিতে আছেন আর পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা তিনিও গর্ভবতী হওয়ায় এবং করোনা ভাইরাসের কারনে স্বাস্থ্য ঝুকি এড়াতে সাময়িক ছুটি কাটাচ্ছেন।

সিভিল সার্জন দিনাজপুর মোঃ আব্দুল কুদ্দুসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, জননেত্রীর সরকার আমাদের জন্য কি করছেননা। তার পরও আমাদের কর্মকর্তা কর্মচারীরা কেনো বিভিন্ন অজুহাতে কাজে ফাঁকি দেয় বুঝিনা। বিষয়টি গোপনে তদন্ত করে দেখি, সত্যতা পেলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

মে ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« এপ্রিল    
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।