• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ ইং
আজ থেকে ঢাকা- মাওয়া – ভাঙা এক্সপ্রেসওয়ে চালু

ছবি- ঢাকা- মাওয়া- ভাঙা এক্সপ্রেসওয়ে ( সংগৃহীত)

আজ থেকে ঢাকা- মাওয়া – ভাঙা এক্সপ্রেসওয়ে চালু

 

বহুল প্রতিক্ষিত ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা রুটে দেশে প্রথমবারের মতো এক্সপ্রেসওয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।

মুজিববর্ষের শুরুতে উদ্বোধন হওয়া এই এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ যোগাযোগ ক্ষেত্রে এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে।

বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি আনুষ্ঠানিকভাবে এই এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন।

   আন্তর্জাতিক মানের এই এক্সপ্রেসওয়ে দুইটি সার্ভিস লেনের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জন্য আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা সম্বলিত আরামদায়ক ও নিরবচ্ছিন্ন যাতায়াত নিশ্চিতের লক্ষ্যে ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়।

   বিবরণ অনুসারে, এক্সপ্রেসওয়েতে ৫টি ফ্লাইওভার, ১৯টি আন্ডারপাস, প্রায় ১০০টি সেতু ও কালভার্ট রয়েছে। যা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়িয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।

  মাওয়া থেকে ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা এবং ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ পানছার থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত দুটি এক্সপ্রেসওয়ে পুরো খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগের একটি অংশের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ঢাকা শহর এবং দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের মধ্যে যোগাযোগ জোরদার করবে।

বরিশাল বিভাগের ছয় জেলা, খুলনা বিভাগের ১টি জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ছয় জেলাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২টি জেলার মানুষ সরাসরি এই আন্তর্জাতিক মানের এক্সপ্রেসওয়ে থেকে উপকৃত হবেন।

আধুনিক এক্সপ্রেসওয়ের দুটি অংশ ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর মধ্য দিয়ে সংযুক্ত হবে। ২০২১ সালের জুনের মধ্যে ট্রাফিকের জন্য ব্রিজটি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেলে কোনো ভ্রমণকারীকে ভাঙ্গা থেকে ঢাকা আসা এবং যেতে এক ঘণ্টা সময় লাগবে না। এই হাইওয়েতে আগামী ২০ বছরের জন্য ক্রমবর্ধমান ট্রাফিকের পরিমাণ বিবেচনা করে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে প্রায় ১১০০৩.৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মিত হয়েছে।

 সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যৌথভাবে ২০১৬ সালে চারটি জেলা–ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর ও ফরিদপুরে এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরু করে; এটি নির্ধারিত সময়ের তিন মাস আগে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার নির্ধারিত সময় ছিল ২০২০ সালের ২০ জুন। ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিববর্ষ উদযাপন শুরুর প্রাক্কালে এক্সপ্রেসওয়ে ট্রাফিকের জন্য উন্মুক্ত হতে চলেছে।

এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও মুন্সীগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তফা জানান, ঢাকার যাত্রাবাড়ীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের জুলাই মাসে। ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। এছাড়া মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। বাকি ছিল ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার অংশের কাজ। সর্বশেষ চলতি মাসে এসে এই প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে চলে আসে।

সূত্র জানিয়েছে, ২০১৬ সালের মে মাসে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় এবং তা সমাপ্তির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত। কিন্তু তার তিন মাস আগেই মহাসড়কটি সব ধরনের যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। এই মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।

ইতোমধ্যে ৬ কিলোমিটার সেতুর মধ্যে ৪ কিলোমিটারই দৃষ্টিসীমার মধ্যে এসেছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগেই মহাসড়ক নির্মাণ সম্পন্ন হওয়াকে জাতীয় এই প্রকল্পের অনেক বড়ো অগ্রগতি হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে।

 

 

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

মার্চ ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« ফেব্রুয়ারি    
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।