আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে শ্রদ্ধা জানাতে বনানীতে গিয়েছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি মোহাম্মদ নাসিমের জানাজাতেও অংশ নিয়েছেন।
গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার জানিয়েছেন, গতকাল রাতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী যখন জানতে পারেন যে তিনি করোনামুক্ত হয়েছেন, তখনই তিনি মোহাম্মদ নাসিমের জানাজায় যাওয়ার প্রবল ইচ্ছা পোষণ করেন। মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল- উল্লেখ করে তিনি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের বলেন, আমি যদি মোহাম্মদ নাসিমের জানাজায় গিয়ে মারাও যাই, তবুও আমি তার জানাজায় যেতে চাই।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে মোহাম্মদ নাসিমের জানাজায় অংশ নেয়ার সময় জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গণমাধ্যমবিষয়ক সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।
৭২ বছর বয়সী এই রাজনৈতিক গত ১ জুন শ্বাসকষ্ট নিয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তার করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। গত শুক্রবার ভোরে তিনি ব্রেন স্ট্রোক করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. রাজিউল হকের নেতৃত্বে অপারেশন হয়। পরে দুইদফা আবারও করোনাভাইরাসের নমুনা নেয়া হয়। সেখানে নেগেটিভ আসে। তার অপারেশন সফল হলেও সঙ্কট কাটেনি। গত ৫ জুন থেকে কোমায় চলে যান। সেই সঙ্কট কাটিয়ে আর ফেরা হলো না সাবেক এই মন্ত্রীর। গতকাল শনিবার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে মারা যান তিনি। মোহাম্মদ নাসিম স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন।