ফরিদপুর উপজেলায় ভিজিডির ২৫০ কেজি চাল উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) দুপুরে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের মোল্লাবাড়ী ঘাট বাজার এলাকা থেকে চালের বস্তাগুলো উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দুপুর ২ টার দিক করিমপুর হাই রোডে অটো ভরতি চাল নিয়ে ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার নাসিমা বেগমের ভাগ্নে ভূয়ারকান্দি মেম্বরের বাড়ীতে চাল নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় ভূয়ারকান্দি এলাকার রফিক সরদার সন্দেহ করে অটো দাড় করায়। ভয় পেয়ে মেম্বরের ভাগ্নে অটো থেকে পালিয়ে যায়। পরে চাউলসহ অটোবাইকটি মাধবপুর মোল্লাবাড়ী ঘাট বাজারে নিয়ে আসে। এসময় এলাকা বাসী মেম্বারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে এবং মেম্বার নাসিমা বেগমের শাস্তি দাবী করে বিক্ষোভ করে। আরও জানা যায় নাসিমা বেগমের বিরুদ্ধে এরকম আরও ঘটনা রয়েছে, এলাকার লোকজন ক্ষতির ভয়ে কিছু বলে না। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবী করেন এলাকাবাসী।
কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি জানতে পেরে নাসিমা বেগমকে ফোন দেই, তিনি আমাকে জানান যে, দাম কম হওয়ায় গ্রামের কয়েকজনের কাছ থেকে এসব চাল তিনি কিনেছেন ব্যাক্তিগত ভাবে কিছু ত্রাণ দেওয়ার জন্য, সরকারি চাল হওয়ার কারণে কিছু লোক তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে এসব ছড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে নাসিমা বেগমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এগুলো ভিজিডির চাল ঠিকই কিন্তু আমি এগুলো গ্রামের চৌকিদারদের কাছ থেকে কম দামে কিনেছি ত্রাণ দেওয়ার জন্য। সরকারি চাল এভাবে কেনা ঠিক হয়নি। কিন্তু কিছু লোক ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আমার বিরুদ্ধে এসব রটাচ্ছে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুম রেজার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, দুপুরের পরে আমাকে ফোন করে জানানো হয় ঐ এলাকার লোকজন সরকারি চাল পাচার কালে আটক করেছে, তখন আমি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট শাহ্ মোঃ সজীবকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। তিনি সেখান থেকে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরা ভিজিডির ২৫০ কেজি চাল উদ্ধার করে উপজেলায় হস্তান্তর করে। এ সময় অটো চালকে আটক করা হয়।
মাসুম রেজা আরও জানান, ঘটনাটি তদন্ত করা হবে, যদি তিনি দোষী সাব্যস্ত হন তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।