• ঢাকা
  • রবিবার, ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই মে, ২০২৪ ইং
রাজবাড়ীতে বিনা চাষে বারি মাস-৩ উৎপাদন কার্যক্রমের উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

নিরঞ্জন মিত্র ( নিরু) ( ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ সরেজমিন গবেষণা বিভাগ (সগবি), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), ফরিদপুর এর সহযোগিতায় এবং আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্র, বারি, মাদারীপুর এর আয়োজনে ‘‘আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্র, মাদারীপুরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বৃহত্তর বরিশাল, ফরিদপুর অঞ্চলে ডাল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি’’ প্রকল্পের অর্থায়নে গত (১৩ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের মৌকুরী গ্রামে বিনা চাষে বারি মাস-৩ উৎপাদন কার্যক্রমের উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, এ.এফ.এম. রুহুল কুদ্দুস এর সঞ্চালনায় মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ত্ব করেন সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বারি, ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম আহম্মেদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডাল গবেষণা কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, ঈশ্বরদী, পাবনার সম্মানিত পরিচালক ড. মো. মহি উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্র, মাদারীপুর এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ছালেহ উদ্দিন।

অন্যান্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সগবি, পাবনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. রবিউল আলম ও ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আরিফুল ইসলাম, ডাল গবেষণা কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, ঈশ্বরদী, পাবনার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্র, মাদারীপুর এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নন্দ দুলাল কুন্ডু, মো.মামুনূর রশিদ ও শাহিন মাহমুদ সহ সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক সহকারী।

এসময় বারি মাস-৩ এর উৎপাদন কার্যক্রমের উপর অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে ৮০ জন কৃষক কিষানী অংশগ্রহন করেন। অতিথিগণ তাদের বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের কৃষিতে ডাল ফসল খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ মাটির স্বাস্থ্য সংরক্ষণ, দারিদ্র বিমোচন ও পুষ্টিহীনতায় ভোগা বিশাল জনগোষ্ঠীর পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আমিষের অন্যতম প্রধান উৎস। ডালফসলে আমিষের পরিমাণ ২০ থেকে ৩০%। এজন্য ডালকে গরিবের মাংস বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ডাল ফসলের আবাদী জমির পরিমাণ প্রায় ১০ লক্ষ হেক্টর যা মোট আবাদি জমির শতকরা ১২ ভাগ এবং উৎপাদিত ডালের পরিমান ১০ লক্ষ মেট্রিক টন। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতিদিন একজন মানুষের ৪০-৪৫ গ্রাম ডাল খাওয়া উচিত, সে তুলনায় আমরা ভক্ষণকরি মাত্র ১৭ গ্রাম। অপর্যাপ্ত উৎপাদনের জন্য এদেশের জনগণের মাথাপিছু দৈনিক ডালের প্রাপ্যতা খুবই কম। কৃষকের ডাল ফসলের উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ডালের অনেক লাগসহ জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। মাসকলাই ছাড়াও কৃষকদের বারি উদ্ভাবিত অন্যান্য ডাল ফসলের নতুন জাত ও প্রযুক্তি দ্বারা ডাল ফসল আবাদের জন্য প্রধান অতিথি অনুরোধ করেন। আমন্ত্রিত অতিথিসহ কৃষকবৃন্দ বারি উদ্ভাবিত বারি মাস-৩ এর মাঠ পরিদর্শণ করেন। কৃষকেরা সাধারণত স্থানীয় জাতের মাসকলাই’র আবাদ করে থাকে যার ফলন কম এবং রোগ ও পোকামাকড়ের পরিমাণ বেশী। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত বারি মাস-৩ (হেমন্ত) জাতটির ফলন শতকে প্রায় ৬ কেজি যার দ্বারা বারি উদ্ভাবিত এ জাতসমূহ কৃষক পর্যায়ে আবাদ করে দেশে ডালের ঘাটতি অনেকাংশে পূরণ করা সম্ভব। তাই, কৃষকেরা প্রচলিত জাতের পরিবর্তে বারি উদ্ভাবিত বারি মাস-৩ কে গ্রহন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রধান অতিথি সবাইকে নতুন প্রযুক্তি গ্রহন করে মাসকলাইর উৎপাদনকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য অনুরোধ করেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

মে ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« এপ্রিল    
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।