মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : আর চার দিন পরে ঈদ উল আযহা। আগুনে পোড়ানো নরম লোহায় হাতুড়ি পেটানো ঠুং ঠাং শব্দে দিন ও রাত সমান ব্যস্ততায় সময় পার করছেন মধুখালীর কামার শিল্পীরা। অধিক পরিশ্রম হলেও বছরের অন্য সময়ের চেয়ে বাড়তি রোজগারের আশায় ক্লান্তি ভুলে ব্যস্ত কামারীরা। লোহার দাম বেড়ে যাওয়ায় দা, চাকু, ছুড়ির দাম এবার বেড়েছে বলে জানিয়েছে মধুখালী বাজারের কামার শিল্পী রাজকুমার।
তিনি জানান, লকডাউনে কাজ একেবারেই কাজ করতে পারিনি। কিন্তু এখন ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড়। আমার সহকারী হিসেবে ৫ জন কাজ করছেন। তাদের কেউ ব্যস্ত নতুন দা-বটি তৈরিতে, আবার কেউ ব্যস্ত পুরনো দা-বটিতে শান দিতে। এবছর আমি নতুন কাজের অর্ডার নেয়া বন্ধ করিনি। গতবছর এসময় অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। অনেকে মৈৗসুমী ব্যবসার জন্য পশুর মাংস কেটে দিয়ে বাড়তি রোজগার করতে নতুন দা-বটিও বানাচ্ছেন। তবে প্রতিবারের তুলনায় এ বছর আমাদের কাজের চাপ অনেকটা কম ।
এদিকে মধুখালী বাজার, শ্রীপুর কামারপাড়া, কামারখালী, মেগচামী, নওপাড়া, বাগাট সহ বিভিন্ন হাট বাজারে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দা, বটি, চাকু, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করছেন কামাররা। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কামারপট্টির কামারদের এখন কাজের চাপ কিছুটা বেশি। একের পর এক ক্রেতা এসে দোকানে ভিড় করছেন। তাই সকাল, দুপুরের খাবার তারা দোকানে বসেই সেরে নিচ্ছেন। পুরনো দুটি চাপাতি, একটি চাকু , একটি বটি ও ছুরিতে শান দেয়ার জন্য নিচ্ছেন ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। অন্য সময় মজুরি ছিল ২০০ টাকা। আর নতুন একটি বটি ৫০০ ও কুড়াল ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।