রাজশাহীর বাগমারায় সরকারি রাস্তায় ময়লা আবর্জনা ফেলে জমি জবর দখল এবং যানবাহন চলাচলে বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের মাঝিগ্রামে বাধাদানকারী ও পথচারীদের মধ্যে প্রায় বিবাদ-বিসংবাদ লেগেই থাকে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
রাজশাহী জেলা পরিষদে লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মাঝিগ্রামের রেজাউল করিম ও তাঁর ভাই বজলুল করিম এবং বোন একডালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কহিনূর খাতুন এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা সরকারি রাস্তায় ময়লা আবর্জনা ফেলেন ও (মৎস্যবাহী গাড়ী,বালির ট্রাক) যানবাহন চলাচলে বাধা দিয়ে থাকেন।
সূত্রে জানা যায়, মাঝিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি বাঁক রয়েছে। বাঁক অতিক্রমের সময় প্রায় পথচারীদের সাথে অশালীন ও মারমুখী আচরণ করেন সংশ্লিষ্টরা। অপর দিকে একই গ্রামের স্থানীয় প্রভাবশালী ( কথিত) বাগমারা উপজেলা সৈনিকলীগ সভাপতি জোবায়েদ হোসেন তাঁর বাড়ির সামনে সরকারি জমিজমা দখল করে স্থায়ী পাকা স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে জবর দখলে রয়েছেন। সূত্রটি আরও জানায়, ময়লা আবর্জনা ও জবর দখলের প্রতিবাদে গত ২৯ জুন ঘন্টাব্যাপী মাঝিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়,
যা বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল, স্থানীয়-জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। সরকারি রাস্তাটি জেলা প্রশাসনের অধীন হওয়ায়, এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষর সম্বলিত লিখিত অভিযোগ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার ( ভূমি), বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবর দায়ের করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে, অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।