কুষ্টিয়ায় লালন শাহ মাজারের সিন্দুক চুরির ঘটনা ঘটেছে। রোববার সকালে লালন শাহ মাজারের খাদেম রিপন মাজারের দরজা খুলে দেখেন সিন্দুকগুলোর তালা ভাঙা। ঘরের মধ্যে থাকা তিনটি সিন্দুকের তালা ভেঙ্গে চুরি হয়ে গেছে সব টাকা। লালন মাজারের যে ঘরটি রয়েছে ওই ঘরে লালনের পালিত মা মতিজান এবং ফকির লালন শাহের কবর রয়েছে। ওই ঘরের মধ্যে দানবাক্স হিসেবে সিন্দুক রয়েছে। রবিবার সকালে মাজারের খাদেম ঘরটি খুলে দেখেন দানবাক্সগুলোর তালা ভেঙ্গে চুরি হয়ে গেছে। রোববার সকালে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমীর সভাপতি মোঃ আসলাম হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। গোটা লালন মাজারের সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা রয়েছে। সিসি ক্যামেরার মধ্যে কি ভাবে চুরি হলো এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। ২০১৩ সালে সর্বশেষ লালন একাডেমীর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৫ সালে ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। এরপর তৎকালীন জেলা প্রশাসক ২০১৩ সালে নির্বাচিতদের কমিটিতে রেখে এডহক কমিটি গঠন করেন। দীর্ঘদিন ধরে ওই কমিটি গঠনতন্ত্র বহিভূত ভাবে ক্ষমতায় বসে আছেন। চুরির ঘটনায় সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচন না দিয়ে কয়েকজনকে ব্যক্তিকে দিয়ে এই ভাবে লালন একাডেমী পরিচালনা করার কারণে কাজের ওপর যত্ন কমে গেছে। তাই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, সিসি টিভির ফুটেজ আমরা দেখেছি। ১৪ তারিখ রাতে ঝড় বৃষ্টি হয়। সেই সময় বিদ্যুৎ ছিলো না। সেই সময়ের ফুটেজ নেই। ওই সময় চুরি হয়ে থাকতে পারে। সকালে ঘটনাস্থলে যাওয়া প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাজারের ঘরে যে স্কাইলেট আছে তা দিয়ে মানুষ অনায়েসে ঢুকতে পারে। লালন একাডেমীর আজীবন সদস্য ও সাবেক নির্বাচিত নির্বাহী সদস্য এ্যাড. মনোয়ার হোসেন মুকুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জেলা প্রশাসক যাদের ওপর দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন তারা উদাসীন। অবহেলার কারণে লালন মাজারে চুরি হয়েছে।