• ঢাকা
  • শনিবার, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মে, ২০২৪ ইং
সালথা’য় আহলে হাদিসের মাদ্রাসায় হামলা ও ভাংচুর

ফরিদপুরের সালথায় আহলে হাদিসের একটি মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে স্থানীয় কওমী মাদ্রাসা সমর্থীত একটি অংশ। বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের কামদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে কওমী মাদ্রাসার সমর্থকরা এ হামলার সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেছেন।

জানা গেছে, ভাওয়াল ইউনিয়নের কামদিয়া গ্রামে আহলে হাদিসের ওই মাদ্রাসাটি স্থাপিত হয় ২০১৯ সালে। ভিত পাকা দুটি টিনের ঘরে মাদ্রাসাটির কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ মাদ্রাসায় পুরুষ ও নারীরা আবাসিকভাবে বসবাস করে পড়াশোনা করে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, এ মাদ্রাসাটি ভেঙ্গে জ্বালিয়ে দেওয়া হবে বলে স্থানীয় কওমী মাদ্রাসার পক্ষে থেকে গত মঙ্গলবার এলাকায় মাইকিং করা হয়। এতে আহলে হাদিস সমর্থকরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ইউএনও ও ওসিকে মঙ্গলবারই বিষয়টি জানান। পরে ইউএনও উভয় পক্ষকে তার কার্যালয়ে ডেকে নেন। এসময় ইউএনও বলেন, বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলায় দুই পক্ষকে নিয়ে সভা করে বিরোধের সমাধান করে দেবেন। ওই সময় পর্যন্ত দুই পক্ষকে শান্তিপুর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার পরামর্শ দেন। রাতে আহলে হাদিস মাদ্রাসায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

আহলে হাদিস মাদ্রাসার পরিচালক ইলিয়াস হোসেন জানান, বুধবার সকালে কওমী মাদ্রাসার সমর্থীত দুই-তিনশ লোক আহলে হাদিস মাদ্রাসায় হামলা চালায়। ওই সময় মাদ্রাসায় ৩৫ জন নিবাসী ও চারজন শিক্ষক ছিলেন। হামলাকারীদের ভয়ে তারা মাদ্রাসা ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর হামলাকারীরা মাদ্রাসার দুটি ঘর ভাংচুর করে। এ সময় ১৪টি সিলিং ফ্যান, একটি সৌর বিদ্যুতের সোলারসহ নিবাসীদের যাবতীয় মুল্যবান দ্রব্য সামগ্রী লুটপাট করে নিয়ে যায় তারা। এর ফলে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।

সালথা হেফাজতে ইসলামীর সাধারন সম্পাদক মাওলানা ঝিনাতুল ইসলাম বলেন, ইউএনওর প্রতিশ্রুতি মতো বুধবার ভোরেই উপজেলা হেফাজতের সভাপতি নিজাম উদ্দীনসহ কওমী মাদ্রাসার নেতারা উপজেলায় চলে আসি। পরে জানতে পারি কওমী মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলামকে আহলে হাদিসের সমর্থকরা মারপিট করেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সাধারন মানুষ বিক্ষুদ্ধ হয়ে আহলে হাদিস মাদ্রাসায় এ হামলা চালিয়েছে। তিনি দাবী করেন, এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় কওমীপন্থীদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, কওমীপন্থী শিক্ষক ও আহলে হাদিসের শিক্ষকদের নিয়ে এলাকায় বিরোধ চলছিল। এ বিরোধ নিরসনে বুধবার সকাল ১০ টায় উভয় পক্ষকে নিয়ে উপজেলা পরিষদে আলোচনার কথা ছিল। কিন্তু কওমীপন্থী একটি অংশ উপজেলায় এলেও অপর অংশ ওই মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে এ ভাংচুর করে। তিনি বলেন, কারা এ হামলার সাথে জড়িত তাদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হাসিব সরকার বলেন, হামলার ঘটনা শোনার পর তিনি ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ওই মাদ্রাসায় যে ৩৫ জন নিবাসী ছিল তাদের সকলকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কারা এ হামলার সাথে জড়িত ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এব্যাপারে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

মে ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« এপ্রিল    
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।