চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার সবুল্ল্যা শিকদার ডাঙ্গী গ্রামের পদ্মা পার এলাকায় গত ক’দিনের তীব্র ভাঙনে বিলীন হয়েছে প্রায় ৫ একর ফসলী জমি। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে হুমকীর মুখে পড়বে জেলা শহরে যাতায়াতের প্রধান সড়ক সহ আশপাশের ৩টি গ্রামের বসতিরা। পদ্মা নদীর উক্ত পয়েন্টে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মেহেদী মোর্শেদ। এ সময় তার সাথে ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মোতালেব হোসেন মোল্যা, প্রধান শিক্ষক শেখ শহীদুল্লাহ ও মুক্তিযোদ্ধা ফখরুজ্জামান মাষ্টার প্রমূখ।
শুক্রবার সন্ধায় স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, কয়েক দিন ধরে উপজেলা পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সেইসাথে দেখা দিয়েছে পদ্মা নদীর ভাঙন। উপজেলা সদর ইউনিয়নের ছবুল্ল্যা শিকদার ডাঙ্গী গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সংরক্ষনের জন্য পদ্মার পার এলাকায় গড়া হয়েছে স্থায়ী বাঁধ। উক্ত বিদ্যালয় থেকে পূর্ব সীমানার টিলারচর গ্রাম পর্যন্ত প্রায় এক কি.মি. পদ্মা পার এলাকা রয়েছে অরক্ষিত ও উন্মুক্ত। এর পরের পদ্মা পার এলাকার দীর্ঘ সীমানা পর্যন্ত রয়েছে স্থায়ী বাঁধ। কিন্ত উক্ত অরক্ষিত পদ্মা নদীর খোলা পয়েন্টে গত ক’দিন ধরে চলছে তীব্র ভাঙন। ভাঙনে প্রায় ৫ একর বিভিন্ন ফসলী জমি বিলীন হয়ে গেছে। শুক্রবার ভাঙনের পাশের বসতি ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক কালাম প্রামানিক, নয়ন খান ও ওহেদ কর সহ অনেকে জানায়, “ পদ্মায় ভাঙতে ভাঙতে বাপ দাদার সমপত্তির মধ্যে পদ্মা পারে একটু ফসলী জমি ছিল। গত কয়েক দিনের ভাঙনে তাও বিলীন হয়ে গেলো”। আর উপজেলায় দায়িত্বরত ফরিদপুর পাউবো’র উপ-প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন জানান, “ ওই এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করার জন্য ইতিমধ্যে প্রস্তাবনা (ডিবি) তৈরী করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা অনুমোদন দিলে পদ্মা পারে কাজ করা হবে”।
মোঃ মেজবাহ উদ্দিন
চরভদ্রাসন, ফরিদপুর
তাং-১৮/৮/২০২৩ ইং