ফরিদপুর সদর উপজেলার আওতাধীন কানাইপুর ইউনিয়নের কাশিমাবাদ গ্রামের বাসিন্দা মোছাঃ আঁখি (৩০) নামের হৃদরোগে আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীর তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন সদর উপজেলার মানবিক অফিসার ইউএনও মোঃ মাসুম রেজা।

রোগীর সমস্যা সমূহ…। বিভিন্ন হসপিটালে রোগীর ভর্তি নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে এ খবর সদর ইউএনও মাসুম রেজাকে অবগত করা হয়। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে আন্তরিকতার সাথে হসপিটাল কর্তৃপক্ষকে মোবাইলের মাধ্যমে রোগী ভর্তির ব্যবস্থা এবং অভিজ্ঞ ডাক্তারকে ঘটনা স্থলে গিয়ে রোগীর জরুরী সেবা প্রদান করতে সহযোগিতা করেন।

এ বিষয়ে ইউএনও মাসুম রেজা সাংবাদিকদের বলেন, যদি ফরিদপুরে কোনো হসপিটাল করোনা পরিস্থিতিতে রোগীর সঠিক সেবা প্রদান করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে তাহলে অবশ্যই আমাকে অবগত করবেন। আমি তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে চিকিৎসার ব্যবস্থা করাবো। এছাড়া আগামীতে কোনো রোগীকে এধরনের অবহেলা এবং চিকিৎসা না দিলে হসপিটাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রোগীর সাথে থাকা ভাগ্নে আরাফাত হোসেন রিফাত জানান, আমার আন্টি মুমূর্ষু অবস্থায় হসপিটালে ভর্তির জন্য গেলেও এক পর্যায়ে চরম অবহেলার শিকার হয় এমতাবস্থায় ইউএনও স্যারের সঠিক ব্যবস্থায় আমার আন্টির চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়।

উল্লেখ, ভুক্তভোগীর এক স্বজন জানান গত দুই মাস আগে কিডনী ও লিভারের সমস্যা নিয়ে একটি সন্তান প্রসব করেন,এরপরে হার্ট অপারেশন করে রিং পরিয়েছে। হঠাৎ গতকাল সকালে একেবারেই অসুস্থ হয়ে মুমূর্ষু হয়ে যায়, তখন ফরিদপুর থেকে এ্যাম্বুলেন্স এনে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় এরপর বেশ কয়েকটি হাসপাতালে নিই কিন্তু কেউ ভর্তি নিচ্ছেনা, তবে ওর করোনার কোনো উপসর্গ নেই এছাড়া গত সপ্তাহে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে কিন্তু রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে এই কাগজ পত্র দেখানো সত্যেও কোনো উপায় মিলেনি হাসপাতাল থেকে এরপরে ফরিদপুরে সদরের ইউএনও মাসুম রেজা স্যার এবং এডিশনাল এসপি রাশেদুল ইসলাম স্যার আন্তরিক সহযোগিতায় অতি অল্প সময়ের মধ্যেই ফরিদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করি এবং ডা: কামাল উদ্দিন স্যারের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। গতরাতে সদর হাসপাতালে থাকা অবস্থায় ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা হৃদরোগ হাসপাতালে ভর্তির উদ্দেশ্যে আজকে ভোরে রওনা দিয়ে সকাল ১১টায় ঢাকা পৌঁছেছেন এরপরে ওখানে আইসিওতে রাখা হয়েছে।