যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ককে ‘লকডাউন’ করা হয়েছে। ওষুধের দোকান, মুদির দোকানের মতো জরুরি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব বন্ধ থাকবে। কর্মচারীদের প্রয়োজনে ঘর থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিউইয়র্কে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ১ শ ছাড়িয়েছে। প্রতি মুহূর্তে এ সংখ্যা বাড়ছে। ২০ মার্চ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত নিউইয়র্কে মৃতের সংখ্যা ৩৫।
শুক্রবার সকালে নিউইয়র্কের রাজ্য গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো ‘লকডাউন’ এর নির্দেশ ঘোষণা দেন। এ নির্দেশনা স্থানীয় সময় রোববার রাত ৮টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। আদেশ লঙ্ঘনকারীদের জরিমানা গুনতে হবে।
রাজ্য গভর্নর তাঁর ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘সাধ্যের সবকিছু আমরা করেছি। একটা জীবনও যদি বাঁচাতে পারি, তাহলে খুশি হব।
পুরো রাজ্যজুড়ে গ্রোসারি স্টোর , ফার্মেসি ছাড়া একান্ত জরুরি ব্যবসা-বাণিজ্য খোলা থাকবে। সব ধরনের আউটডোর কার্যক্রম, স্পোর্টস বন্ধ থাকবে। সরকারি, বেসরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যারা জরুরি কাজে নিয়োজিত নয়—তাদের ঘর থেকে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। লন্ড্রেমেট, রেস্টুরেন্টে শুধু ডেলিভারি, পেট্রল পাম্প এবং সীমিত গণপরিবহন চালু থকবে।’
গভর্নর কুমো আশে-পাশের রাজ্যেও এমন ঘোষণা প্রত্যাশা করছেন। বলেন, আমি সব দায়িত্ব নিজে গ্রহণ করছি। কেউ আমাকে দোষারোপ করলে করুক। তিনি বলেন, আমরা নাজুক পরিস্থিতির আশঙ্কা করছি, তবে প্রত্যাশা করছি ভালো কিছুর। এসব উদ্যোগ কেবলই জীবন রক্ষার জন্য বলে উল্লেখ করেন উদ্বিগ্ন রাজ্য গভর্নর।
নিউইয়র্ক নগরীতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের রাসায়নিক নিরাপত্তায় কর্মরত এক বাংলাদেশি প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, তাদের বিশেষ পাস ইস্যু করে রাখা হয়েছে। নগরীতে যে কোনো সময় কারফিউ জারি হতে পারে। নিউইয়র্কের মেয়র ডি ব্লাজিও ‘শেল্টার ইন প্লেস’ ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এর মধ্যে নিউইয়র্কে বার মালিকদের তিন মাসের মর্টগেজ মওকুফ ঘোষণায় কিছু বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। মর্টগেজ পরিশোধ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। ভাড়াটে ও কর্মজীবীরা তাঁদের প্রণোদনা সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। রাজ্য ও ফেডারেল সরকার মিলে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই প্রণোদনার আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন বলে মার্কিন গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে।
সংবাদসুত্রঃ প্রথমআলো