রাজশাহীর বাগমারায় স্কুলছাত্রীর অশ্লীল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে দুই বখাটেকে গ্রেপ্তার করেছে বাগমারা থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত বখাটেরা হলেন, উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বাইগাছা গ্রামের আবদুল হালিম (২৪) ও সাব্বির হোসেন (১৯)। তাঁরা এলাকায় বখাটে হিসাবে পরিচিত।
তাঁদের বিরুদ্ধে পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা দায়েরের পর পুলিশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে দুই বখাটেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত বখাটেদের সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছেন বলে বাগমারা থানার পুলিশ জানিয়েছেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের দেওয়া তথ্য মতে, বাইগাছা গ্রামের বখাটে আবদুল হালিম ও সাব্বির হোসেন একই গ্রামের দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন। তাঁদের প্রস্তাবে রাজি না হলে ছাত্রীকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য হুমকী দেন বখাটেরা।
বখাটেদের প্রস্তাবে রাজি না হলে তাঁরা প্রযুক্তির সাহায্যে ওই ছাত্রীর বিবস্ত্র ছবি তৈরি করে। পরে তা এলাকার পরিচিতিজনদের মেসেনঞ্জারে ছড়িয়ে দেন। এলাকার বিভিন্ন লোকজনের মুঠোফোনেও ছড়িয়ে পড়ে ছবিটি। বিষয়টি জানার পর ছাত্রী মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।
রোববার রাতে ছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে দুই বখাটের বিরুদ্ধে পর্ণোগ্রাফি আইনে বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ নিজ নিজ বাড়ি থেকে দুই বখাটেকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাঁদের কাছ থেকে কিছু ইলেকট্রনিক্স ডিভাইজার জব্ধ করে। সোমবার দুপুরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত বখাটেরা নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করে এই ঘটনার জন্য অনুতপ্ত বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। স্কুল ছাত্রীর পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার পর থেকে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।
বখাটেরা ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়া ছাড়াও আর্থিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করেছিল বলে তারা অভিযোগ করেছেন। সুবিধা না পেয়ে বিবস্ত্র ছবি তৈরি করে সেগুলো প্রযুক্তির মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, মামলা দায়েরের পরেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত দুই বখাটেকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।