নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ ২৩/০৯/২০২১ খ্রিঃ তারিখ রোজ: বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মোঃ সজীব এর নেতৃত্বে আরবেন রেস্তোরাঁ এন্ড পার্টি সেন্টার, ৯০/২ উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে রুটি ও কেক আইটেমের বিএসটিআইয়ের কোন লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। উৎপাদন এর তারিখে ব্যাপক গড়মিল। ট্রেড লাইসেন্স নেই। জেলা প্রশাসক মহোদয় প্রদত্ত নিবন্ধন ও লাইসেন্স নেই। কোন কর্মীরই স্বাস্থ্য সনদ পাওয়া যায় নাই। ফুড হ্যান্ডলারদের কোন সেইফটি ইকুইপমেন্ট নেই। ওয়াশরুম অস্বাস্থ্যকর। পেস্ট কন্ট্রোল ম্যাকানিজমও নেই। ফ্রিজে কাঁচা ও রান্না করা খাবার একত্রে। ডাস্টবিনের মুখ খোলা। কৃত্রিম ফ্লেভারের লিকুইড পাওয়া গিয়েছে। ছাতা পড়া বাদাম পাওয়া যায় এক বস্তা। লেভেলিং প্রবিধানমালা মানা হয় নাই বেশ কিছু পণ্যের।
এ সকল অপরাধে আরবেন রেস্তোরাঁ এন্ড পার্টি সেন্টার, ৯০/২ উত্তর যাত্রাবাড়ী কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ টাকা) অর্থদণ্ড প্রদান ও তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।
আরবেন রেস্তোরাঁ এন্ড পার্টি সেন্টার, ৯০/২ উত্তর যাত্রাবাড়ী কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মোড়কীকরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষন ও ভোক্তাদের স্বাস্হ্য ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেয়া হয় এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার প্রদান করা হয়! আরবেন রেস্তোরাঁ এন্ড পার্টি সেন্টার, ৯০/২ উত্তর যাত্রাবাড়ী এর কর্তৃপক্ষও নির্দেশনা মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেন।
বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জানান, “খাদ্যের নিরাপদতা নিশ্চিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সর্বদা কাজ করছে। আর এ ধরনের মোবাইল কোর্ট ও মনিটরিং কার্যক্রম সবসময় অব্যাহত থাকবে।” এছাড়া তিনি খাদ্য ও খাদ্য স্থাপনা নিয়ে কারো কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা ৩৩৩ তে কল করে বা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে বা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে জানাতে নাগরিকদের অনুরোধ করেন। বিশুদ্ধ ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া প্রত্যেক জেলায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নিরাপদ খাদ্য অফিসার এর নিকটও অভিযোগ করা যাবে।
অভিযানকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোঃ কামরুল ইসলাম, মনিটরিং অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম, অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফ এবং ব্যাটেলিয়ান আনসার সদস্যবৃন্দের একটি চৌকস টিম উপস্থিত ছিলেন।