বৃদ্ধার নাম অ্যানা ডেল ভ্যালে। ১৯১৩ সালের অক্টোবরে অ্যানার জন্ম। এখন তার বয়স ১০৬ বছর। শত বছর আগে ১৯১৮-তে স্প্যানিশ ফ্লুতে যখন তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন, তখন তিনি একেবারে ছোট্ট।
সেবারও তিনি বেঁচে যান স্প্যানিশ ফ্লুর মতো ভয়ঙ্কর মহামারী থেকে। শত বছর পর এসে এবার তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনায়। এবারও যথারীতি সেরে উঠলেন।
১০৬ বছর বয়সী অ্যানা ডেল ভ্যালের স্প্যানিশ ফ্লু জয়ের পর শত বছর পর এসে করোনা জয়ের খবর দিলো স্পেনের স্থানীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য ওলিভ প্রেস।
দৈনিকটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ”সময়টা ছিল ১৯১৮ সাল; অ্যানা ডেল ভ্যালে ছিলেন ছোট্ট শিশু। ওই বছর স্প্যানিশ ফ্লু বিশ্বজুড়ে হানা দেয়। ফ্লুতে আক্রান্ত হন অ্যানা এবং সুস্থ হয়ে ওঠেন। প্রাণঘাতী এই ইনফ্লুয়েঞ্জা ফ্লু স্থায়ী ছিল প্রায় ৩৬ মাস; ১৯১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এতে আক্রান্ত হন বিশ্বের ৫০ কোটি মানুষ; সেই সময় এটি ছিল বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ। এই মহামারির ১০২ বছর পর স্পেনের এই নানী এবার অলৌকিকভাবে করোনাভাইরাসকে হারিয়ে পরিবারের সদস্যদের আনন্দে ভাসিয়েছেন।”
দ্য ওলিভ প্রেসের প্রতিবেদনে জানা গেল, অ্যানা ডেল ভ্যালে স্পেনের একটি নার্সিং হোমে বসবাস করতেন। সেখানকার ৬০ জন বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তিনিও তাদের সঙ্গে মহামারী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হন।
বৃদ্ধা আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে স্পেনের লা লিনির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলে। চিকিৎসা শেষে কয়েক দিন আগে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।
প্রসঙ্গত, অ্যানার আগে আরও একজন শতবর্ষী বৃদ্ধা করোনা জয় করেছেন। তিনি নেদারল্যান্ডসের ১০৭ বছর বয়সী এক নারী। তার নাম করনেলিয়া রাস। এ ছাড়াও স্পেনেই অন্তত আরও দুজন শতবর্ষী নারী করোনা থেকে সেরে উঠেছেন বলে স্পেনের বিভিন্ন স্থানীয় দৈনিক খবর দিয়েছে।