জায়গা ও শনাক্তকারী কিটের অভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ফিরিয়ে দিচ্ছে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার হাসপাতালগুলো। শুক্রবার রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় ফিলিপাইনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার কম। তবে দেশটির চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কিট সংকটের কারণে পরীক্ষা করতে না পারার অর্থ হচ্ছে, আক্রান্ত বিপুল সংখ্যক লোককে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না।
ম্যানিলার দ্য মেডিকেল সিটি হাসপাতালের প্রধান ইউজিনিও রামোস বলেন, ‘এটা যুদ্ধের সময়ের মতো।’
বেসরকারি এই হাসপাতালটি প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ফিরিয়ে দিতে শুরু করে। এই হাসপাতালে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা নিতে এক হাজারে বেশি মানুষ এসেছিলেন। বর্তমানে এখানে আক্রান্ত হয়েছেন এমন সন্দেহে শতাধিক রোগীর চিকিৎসা চলছে। আর আইসিইউতে আছে ১৪ জন।
ইউজিনিও রামোস বলেন, ‘আরো বেশি লোকজন আসছে, এদের অনেকেই ভীত, কিছু ইতোমধ্যে গুরুতর পর্যায়ে চলে গেছে।’
তিনি জানান, সুযোগ-সুবিধা এতোটাই সীমিত যে, যাদেরকে ইনটেনসিভ কেয়ারে রাখার কথা তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে স্রেফ শ্বাস নেওয়ার টিউব দেওয়া হয়েছে।
ফিলিপাইনে এ পর্যন্ত ৮০৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ৫৪ জন। এদের মধ্যে ৯ জন চিকিৎসা কর্মী। এছাড়া আক্রান্তদের নিবিড় সংস্পর্শে যাওয়ায় আরো শতাধিক কর্মীকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরেকটি দেশ মালয়েশিয়ায় দুই হাজার ১৬১ জন আক্রান্ত হলেও এখানে মারা গেছে ২৬ জন।
ফিলিপাইনের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসপেরানজা ক্যাবরাল জানান, এ পর্যন্ত মাত্র দুই হাজার ১৪৭ জনকে পরীক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। শনাক্ত কিটের অভাবে বিপুল সংখ্যক লোককে পরীক্ষা করা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘ ১০ থেকে ২০ হাজার লোককে পরীক্ষার আগ পর্যন্ত আমরা প্রাদুর্ভাবের মাত্রা পরিমাপ করতে পারছি না।’
ফিলিপাইনে প্রতি ১০ হাজার লোকের জন্য হাসপাতালে মাত্র ১০ টি বেড আর ১৪ জন চিকিৎসক রয়েছেন।
একটি হাসপাতালের জরুরি সেবা বিভাগের এক কর্মী জানান, রোগীদের ছয় ঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। লোকবল সংকটের কারণে গুরুতর রোগীদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে অনভিজ্ঞ কর্মীদে