নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের সংঘর্ষ নিয়ে উক্ত ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জুলফিকার আলী মোল্লা মিনু।
২৮ জুন সোমবার দুপুরে কানাইপুর হাই স্কুল মার্কেট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ অফিস কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে এই সংবাদ সম্মেলন নিয়ে পাল্টা অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে কানাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জুলফিকার আলী মোল্ল্যা মিনু বলেন, বেলায়েত ফকির সন্ত্রাসী, ভুমিদস্যু, মিথ্যাবাদী ও অপপ্রচারকারী। তিনি বিভিন্নভাবে আমাদেরকে মিথ্যা মামলার ভয় ভীতি দেখিয়ে অত্যাচার ও নির্যাতন চালাচ্ছেন। আমরা সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে সুবিচার চাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কোতয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন মাতুব্বর, কানাইপুর ইউপি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক লিয়াকত আলী শেখ সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশ নেতা কর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে কানাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেন জানান, আমার বিরুদ্ধে তারা যে অভিযোগ তুলেছে তা ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই তারা এ ধরনের মিথ্যা রটাচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, মিনু মোল্লার নেতৃত্বে জামায়াত-বিএনপির লোকজন আমার ছোট ভাই লুৎফর ফকিরকে পিটিয়ে রক্তাক্ত যখম করে ও ছোট ভাই এনায়েত ফকিরের দোকান ভাংচুর করে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আশা করি সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চেয়ারম্যান আরো বলেন, রনকাইল গ্রামে একটি জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ হয়। সে বিষয়টা রাতেই আমরা প্রশাসনের সাথে কথা বলে একটি মিমাংসার পর্যায়ে গিয়েছিলাম। কোতয়ালী থানার ওসি সাহেব দুপক্ষের সাথে বসে মিমাংসা করে দিতে চান এবং ঐখানে একটি লিখিতও হয় যাতে পরবর্তীতে কোনো ঝামেলা না হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় (বৃহস্পতিবার) ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মিনু মোল্যা বিএনপি’র নেতাকর্মীদের নিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে ঐ এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে এবং কানাইপুর বাজারে এসে আমার ছোট ভাইয়ের সারের দোকানে ৮/১০ জন যুবক সন্ত্রাসী কায়দায় ভাংচুর ও লুটপাট করে, যার একটি সিসি ফুটেজও আছে।
প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে, এরা দলের পদপদবী দখল করে আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতেছে। আরো দুঃখজনক যে সরকারী কাজে নিয়োজিত জাইক্যা প্রজেক্টের একটি গাড়িও ভাংচুর করেছে। আমি ফরিদপুরের প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলতে চাই, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই সন্ত্রাসীদেরকে আইনের আওয়াতায় আনা হোক।
তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মিনু মোল্যা বিএনপির লোকজন নিয়ে রনকাইল গ্রামে যায়। কিন্তু আওয়ামীলীগের ৮/১০ জন আহত হয়েছে তাদের দেখতে যায়নি। এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়।