• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা মে, ২০২৪ ইং
চরভদ্রাসন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এক যুগ পর চালু হয়েছে শুধুমাত্র এক্স-রে, নেই প্যাথলজি সেবা

চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি ঃ- 

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে দীর্ঘকাল ধরে প্যাথলজি সেবা নেই। প্রায় এক যুগ পর কিছুদিন ধরে এক্স-রে সেবা চালু হলেও রুগীদের আল্ট্রাসনোগ্রাম, রক্ত ও মলমুত্রর কোনো প্যাথলজিক্যাল সেবা নেই। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট অত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবকাঠামো রয়েছে, নেই লোকবল ও প্রয়োজনীয় মেশিনারী সরঞ্জাম। এতে সঠিক চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না উপজেলার রুগীরা।

সোমবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হাফিজুর রহমান বলেন, “ দীর্ঘকাল থরে হাসপাতালের একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি বন্ধ থাকার পর আমরা এক্স-রে সেবা চালু করেছি। গত ৫ বছর ধরে লোকবলের অভাবে হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের ল্যাব বন্ধ রয়েছে। ল্যাবের মেশিনপত্র সব প্যাকেট করে সরিয়ে রাখা হয়েছে। কোনো কাজে আসে না বিধায় প্যাথলজি রুমের সামনে গলির ফ্লোর স্পেসে হাসপাতালের বিভিন্ন ধরনের অতিরিক্ত ও পরিত্যাক্ত ফার্নিচার রাখা হয়েছে। ফলে আপাততঃ উক্ত ল্যাবকক্ষে প্রবেশ করা সম্ভব নয়”।

সোমবার হাসপাতাল ঘুরে ভুক্তভোগী রুগীরা জানায়, অত্র সরকারি হাসপাতালে এসে গতানুগতিক কিছু ট্যাবলেট, মলম ও ক্যপাসুল ছাড়া আমরা প্যাথলজিক্যাল কোনো সেবা পাচ্ছি না। এতে ভোগান্তির শিকার হয়ে রুগীদের সুচিকিৎসার জন্য জেলা শহরে ছুটতে হচ্ছে। সম্প্রতী হাসপাতালে এক্স-রে কার্যক্রম চালু হওয়াতে অনেকে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। পায়ে ক্ষত নিয়ে এক রুগী  সবুর মোল্যা (৩৮) জানায়, “হাসপাতালে একটি এক্স-রে করতে মাত্র ৭০ টাকা খরচ হয়েছে। আর বাইরের কোনো ক্লিনিকে একই সেবা নিতে গেলে প্রায় ৫শ’ টাকা খরচ সহ ভোগান্তির শিকার হতে হতো”। আরেক রুগী আমনা বেগম (৪২) বলেন, “ অত্র হাসপাতালে প্যাথলজি বিভাগ চালু হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাণ ফিরে পেত”।

এছাড়া জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দন্ত বিভাগ, গাইনী বিভাগ ও নাক, কান ও গলা সহ বিভিন্ন সেবাদান বিভাগ বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র জরুরী বিভাগে একজন চিকিৎসক নিয়মিত ডিউটি করে গ্রামাঞ্চলের রুগীদের নিম্নমানের সেবা দিয়ে চলেছেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

মে ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« এপ্রিল    
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।