নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ ৩০/০৯/২০২১ খ্রিঃ তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মোঃ সজীব এর নেতৃত্বে হ্যালো বেকারি, সদর ও ঐশ্বর্য এগ্রো ফুড প্রসেসিং লি. বিসিক শিল্পনগরী, সদর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
ক) অভিযানকালে হ্যালো বেকারিতে লেভেলবিহীন রসমালাই পাওয়া যায়! দুধে মাছি পড়ে ছিল। ফ্লোর স্যাতস্যাতে। ট্রেড লাইসেন্স নেই। ফ্রিজে কাঁচা মাংশ ও মিষ্টি আইটেম একত্রে রেখে দেয়া হয়েছে। কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সনদ নেই। নেই কোন সেইফটি ইকুইপমেন্ট। এ সকল অপরাধে হ্যালো বেকারি কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ টাকা) অর্থদণ্ড প্রদান ও তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।
খ) ঐশ্বর্য এগ্রো ফুড প্রসেসিং লি. এর কারখানায় অভিযানকালে দেখা যায়, মেয়াদোত্তীর্ণ আটা দিয়ে কেক ও বিস্কুট তৈরি করেছেন এবং মেয়াদোত্তীর্ণ আটা মজুদ রয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ মধুর সিরকা ব্যবহার করছেন। কারো কোন স্বাস্থ্য সনদ নেই। নেই কোন সেইফটি ইকুইপমেন্ট। ডাস্টবিন খোলা উৎপাদন এরিয়ায়! এসকল অপরাধে ঐশ্বর্য এগ্রো ফুড প্রসেসিং লি কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ বিধান অনুসারে ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ টাকা) অর্থদণ্ড প্রদান ও তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়। সর্বমোট ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
হ্যালো বেকারি ও ঐশ্বর্য এগ্রো ফুড প্রসেসিং লি কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মোড়কীকরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষন ও ভোক্তাদের স্বাস্হ্য ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেয়া হয় এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার প্রদান করা হয়। হ্যালো বেকারি ও ঐশ্বর্য এগ্রো ফুড প্রসেসিং লি এর কর্তৃপক্ষও নির্দেশনা মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেন।
বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জানান, “খাদ্যের নিরাপদতা নিশ্চিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সর্বদা কাজ করছে। আর এ ধরনের মোবাইল কোর্ট ও মনিটরিং কার্যক্রম সবসময় অব্যাহত থাকবে।” এছাড়া তিনি খাদ্য ও খাদ্য স্থাপনা নিয়ে কারো কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা ৩৩৩ তে কল করে বা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে বা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে জানাতে নাগরিকদের অনুরোধ করেন। বিশুদ্ধ ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া প্রত্যেক জেলায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নিরাপদ খাদ্য অফিসার এর নিকটও অভিযোগ করা যাবে।
অভিযানকালে প্রধান কার্যালয়ের মনিটরিং অফিসার মোঃ ইমরান হোসেন মোল্লা, ফুড সেইফটি অফিসার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফারহান ইসলাম, নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক ছফিউর রহমান অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফ এবং জেলা পুলিশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদস্যবৃন্দের একটি চৌকস টিম উপস্থিত ছিলেন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলো জেলা প্রশাসন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।