মানিক কুমার দাস,ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক বলেছেন, আওয়ামী লীগের কোন জোটের প্রয়োজন হয়না। সারাদেশে আওয়ামী লীগের সত্তর থেকে পচাত্তর ভাগ ভোট রয়েছে। কিন্তু সেই ভোট আপনারা আনতে পারেননা। কারণ, আপনাদের মাঝে ঐক্য নেই।
আজ সোমবার বিকেলে শহরের কবি জসীম উদ্দীন হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা মাহমুদা বেগম কৃক সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ফরিদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মহিলা লীগের সদস্য সচিব আইভি মাসুদ।
মাহমুদা বেগম কৃক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে রুখে দিয়েছিল। সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। ওরা মনে করেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়েই সব শেষ করে দিতে পেরেছে। কিন্তু ওরা জানতো না বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ।
১৫ আগস্ট এক বেদনাবিধুর অধ্যায় যেদিন আমরা বাংলাদেশের স্থপতিকে হারিয়েছিলাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামান্যতম রাষ্ট্রীয় মর্যাদাও দেয়া হয়নি সেদিন এই মহান নেতার বিদায় লগ্নে। বেঁজে উঠেনি কোন করুণ সুরের বিউগল। তিনি বলেন, বাবার মতোই আন্দোলন করে কারাবরণ করে, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীদের ত্যাগ তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসেছেন। ক্ষমতায় এসে তিনি নারীর ক্ষমতায়ন করেছেন। শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ২১ আগস্ট শেখ হাসিনা সহ সকল শীর্ষ নেতাকে হত্যার সাথে তারেক রহমান জড়িত ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাওয়া ভবনে বসেই গ্রেনেড হামলার ষড়যন্ত্র হয়েছিল।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামালউদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক ঝর্ণা হাসান ও মাইনুদ্দিন আহমেদ মানু, দপ্তর সম্পাদক অনিমেষ রায়, জেলা যুবলীগের সভাপতি জিয়াউল হাসান মিঠু, আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদ বেপারী, সোহেল রেজা বিপ্লব, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আক্কাস হোসেন, শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, পৌর কাউন্সিলর চামেলি বেগম, আলফাডাঙ্গা থানা মহিলা লীগের সভাপতি মনোয়ারা বেগম, ভাঙ্গার জাহানারা আক্তার, চরভদ্রাসনের রওশন আরা পারভিন, ভাঙ্গা মহিলা লীগের কাজী সিলভিয়া রাতুল, নগরকান্দার আনজুমান আরা, সালথার রুপা আক্তার, মধুখালির সুরাইয়া সালাম, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার লক্ষণ প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন মহিলা লীগ নেত্রী শাহানা আক্তার।
সভার শুরুতে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় আগস্টে নিহত সকল শহীদদের স্মরণে। এরপর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠ করা হয়। জেলাসদর সহ নয়টি উপজেলা হতে আসা বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে হলরুমে তিল ধারণের ঠাই ছিলোনা।