নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৩/১০/২০২১ ও ১৪/১০/২০২১ খ্রিঃ তারিখ রোজ বুধবার ও বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মোঃ সজীব এর নেতৃত্বে মেসার্স জমজম এগ্রো ফার্ম, মেসার্স নিউ সাতক্ষীরা ঘোষ ডেইরি ও হুগলি বেকারি, মহানগর এলাকা, খুলনাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে ক) মেসার্স জমজম এগ্রো ফার্মে তারিখ ও প্রয়োজনীয় তথ্যবিহীন দুধের প্যাকেট তৈয়ার করতে দেখা যায়, প্রাণিসম্পদ বিভাগের নিবন্ধন নেই, মেয়াদোত্তীর্ণ কিছু পশুখাদ্য পাওয়া যায়, ফ্রিজের তাপমাত্রা সঠিক নেই, ওয়াশরুম অস্বাস্থ্যকর। এ সকল অপরাধে জমজম এগ্রো ফার্ম কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ টাকা) অর্থদণ্ড প্রদান ও তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়। খ) মেসার্স নিউ সাতক্ষীরা ঘোষ ডেইরিতে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ মিষ্টি তৈয়ার করছে, কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সনদ নেই, লেভেলিং সঠিক নেই, পেস্ট কন্ট্রোল নেই, ওয়াশরুম অস্বাস্থ্যকর, ট্রেড লাইসেন্স অসম্পূর্ণ। এ সকল অপরাধে মেসার্স নিউ সাতক্ষীরা ঘোষ ডেইরি কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ টাকা) অর্থদণ্ড প্রদান ও তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়। গ) হুগলি বেকারিতে দেখা যায়, পাউরুটি উৎপাদন তারিখ ঠিকভাবে লেখা নেই, কৃত্রিম রং ও ফ্লেভার দেখা গিয়েছে, কলকারখানা অধিদপ্তরের নিবন্ধন নেই, ফায়ার লাইসেন্স নেই, পেস্ট কন্ট্রোল নেই, কোন কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সনদ নেই, ওয়াশরুম অস্বাস্থ্যকর। এ সকল অপরাধে হুগলি বেকারি কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ টাকা) অর্থদণ্ড প্রদান ও তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়। দুইদিনের এ বিশেষ অভিযানে সর্বমোট জরিমানা করা হয় ৪ লাখ টাকা।
তিনটি খাদ্য স্থাপনার কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মোড়কীকরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষন ও ভোক্তাদের স্বাস্হ্য ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেয়া হয় এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার প্রদান করা হয়। তিনটি প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষও নির্দেশনা মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেন।
বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জানান, “খাদ্যের নিরাপদতা নিশ্চিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সর্বদা কাজ করছে। আর এ ধরনের মোবাইল কোর্ট ও মনিটরিং কার্যক্রম সবসময় অব্যাহত থাকবে।” এছাড়া তিনি খাদ্য ও খাদ্য স্থাপনা নিয়ে কারো কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা ৩৩৩ তে কল করে বা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে বা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে জানাতে নাগরিকদের অনুরোধ করেন। বিশুদ্ধ ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া প্রত্যেক জেলায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নিরাপদ খাদ্য অফিসার এর নিকটও অভিযোগ করা যাবে।
অভিযানকালে হেড অফিসের মনিটরিং অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম, নিরাপদ খাদ্য অফিসার সুরাইয়া সাইদুন নাহার, নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক এস এম সাইফুদ্দিন আহমেদ, অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফ এবং খুলনা মহানগর পুলিশ সদস্যবৃন্দের একটি চৌকস টিম উপস্থিত ছিলেন। সার্বিক সহযোগিতা করেন খুলনা জেলা প্রশাসন।