ইনসুলিন যার দরকার, ইনসুলিন তার অধিকার এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ফরিদপুরে পালিত হয়েছে জাতীয় ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও দিবসটি পালিত হয়েছে।
১৯৫৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সচেতন করে তুলতেই বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি তার প্রতিষ্ঠা দিবসকে ডায়াবেটিক সচেতনতা দিবস হিসেবে পালনের উদ্যোগ নেয়। ১৯৮৩ সালের. ২৫ নভেম্বর ফরিদপুর ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠা করেন ডাঃ মোঃ জাহেদ। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে ডাঃ আঃ সালাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৯৮৫ সালের ১ আগস্ট এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেন।
দিবসটি উপলক্ষে ফরিদপুর ডায়াবেটিক সমিতি ফরিদপুর ডায়াবেটিক মেডিকেল কলেজের ৩য় তলার ১ নং সভাকক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। ডায়াবেটিস কি? কি কারণে হয়? এবং এর প্রতিকার কি তা নিয়ে বিষদ আলোচনা করেন এন্ডোক্রাইনোলজী ও ডায়াবেটোলজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল কাদের। তিনি বলেন বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮৪ লক্ষ এবং এ রোগে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১০ম। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সুশৃঙ্খল জীবনযাপন প্রধান ভুমিকা পালন করে।
ফরিদপুর ডায়াবেটিক সমিতির সহ সভাপতি প্রফেসর শেখ আঃ সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এ্যাডঃ সুবোল চন্দ্র সাহা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও কোতোয়ালী আ’লীগ সভাপতি আঃ রাজ্জাক মোল্লা, নারী নেত্রী ও ডায়াবেটিক সমিতির আজীবন সদস্য আছমা আক্তার মুক্তা, ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটো, ডায়াবেটিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ জহিরুল ইসলাম মিয়া প্রমুখ।
এক জরীপ মতে বিশ্বে প্রতি সাত সেকেন্ডে একজন মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে এই রোগ এখন মহামারী রূপ নিচ্ছে। দেশে বর্তমানে ৮৪ লাখেরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
সমিতির পক্ষ থেকে দিবসটি উপলক্ষে ডায়াবেটিস ঝুঁকি এড়াতে নিয়িমত খাদ্যাভ্যাসসহ নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি হাঁটাচলা ও নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
ডায়াবেটিকস সচেতনতা দিবসে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণদের বক্তব্য, শারীরিক শ্রম, নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট পরিমান খাওয়া এবং ওজন ঠিক রাখাসহ সচেতনা এই রোগ থেকে মুক্তির একমাত্র পথ।