সুমন ভূইয়া সাভার প্রতিনিধিঃ সাভারে একদিনে সাত পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্তের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া দিন দিন করোনায় পোশাক শ্রমিক আক্রান্তের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় জরুরি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। শনিবার দুপুরে সাভার উপজেলা পরিষদ ভবনের হলরুমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে এই জরুরি বৈঠক করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজুর রহমান।
জরুরি বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমান জানান, সাভারে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে শনিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের হলরুমের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আয়োজিত এ বৈঠক থেকে সকলের সর্বম্মতিক্রমে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তন্মধ্যে গুরুত্বপূর্ন যে বিষয়টি উঠে এসেছে সেটি হলো- আগামীকাল থেকে তৈরী পোশাক কারখানাগুলোকে বিশেষ নজরদারির আওতায় আনা হবে। তাদেরকে অবশ্যই সরকার বা বিজিএমইএর নির্দেশনা মোতাবেক কারখানা পরিচালিত করতে হবে। একই সাথে কারখানাগুলোতে শ্রমিকদেরকে দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎপাদন চালাতে হবে।
অন্যথায় ঊর্ধ্বতনদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বৈঠকে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমানের সভাপত্বিতে আরো উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একরামুল হকসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাগন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত সাত শ্রমিকের কারখানার নাম প্রকাশ, কারখানা ও অন্যান্য এলাকার সাথে সংযোগস্থল লকডাউনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি।
শনিবার বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, সাধারণ সম্পাদক জুলহাসনাইন বাবু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শামা এক যৌথ বিবিৃতিতে তারা এ দাবি জানান।
লিখিত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দরা বলেন, কারখানা চলাকালীন সময়েও আক্রান্তরা কর্মরত ছিলো এবং ঐ সকল কারখানা এখনও চালু আছে। কারখানা চলাকালীন সময় ঐ শ্রমিকরা কাজ করে থাকলে আমাদের জন্য ভয়াবহ বিপদ অপেক্ষা করছে। অতি শীঘ্রই ঐ সমস্ত কারখানা লকডাউন করাসহ সাভার উপজেলার প্রবেশ পথগুলো বন্ধের দাবি জানান তারা।
এছাড়া বেশীরভাগ কারখানায় হাতধোয়া আর মাস্ক ব্যবহার ছাড়া দুরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে কাজ করার কোন প্রস্তুতি নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে লকডাউন পুনরায় কার্যকর না হলে সংক্রমন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সাভারবাসীসহ সারাদেশবাসী ভয়াবহ বিপদে পড়বেন। তাই এই বিষয়ে সরকারের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।