• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা মে, ২০২৪ ইং
ফরিদপুরে ৭ বছরের শিশুকে একাধিকবার ধর্ষণ

সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের সালথায় পাঁচ টাকার কয়েন হাতে ধরিয়ে দিয়ে সাত বছর বয়সী এক শিশুকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে অভিযুক্ত ধর্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে সালথা থানা পুলিশ। আর শিশু‌টিকে উদ্ধার করে পুলিশী হেফাজতে ডাক্টারি পরিক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নে।

অভিযুক্ত ধর্ষকের নাম মো. দেলোয়ার হোসেন কুমকুম মিয়া (৫০)। তিনি গট্টি ইউনিয়নের সিহংপ্রতাপ পশ্চিমপাড়ার মৃত জুলফিকার আলী মিয়ার ছেলে। অভিযুক্ত দেলোয়ারের স্ত্রীসহ দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। তারা সবাই ঢাকায় থাকেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

শিশুটির পরিবার ও স্থানীয়রা জানান- শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার সময় অভিযুক্ত ধর্ষক দেলোয়ার শিশুটির হাতে পাঁচ টাকার কয়েন হাতে ধরিয়ে দিয়ে বাড়ির পাশে একটি গরুর ফার্মে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। গত কয়েকদিনে এভাবে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে শিশুটি নিজে সাংবাদিকদের কাছে বলে। একপর্যায়ে বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেলে শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত দেলোয়ারকে ধরে মারধর করে ছেড়ে দেন।

পরে স্থানীয় মাতুব্বরা ঘটনাটি মিমাংসা করে দিতে চাইলে তাতে প্রথমে রাজি না হওয়ায় শিশুটির মায়ের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ধরে ধর্ষকের সমর্থকরা। একপর্যায় ভয়ে মিমাংসার বিষয়টি মেনে নিতে বাধ্য হন শিশুটির পরিবার। খবরটি স্থানীয় সংবাদকর্মীরা জানতে পেয়ে পুলিশকে অবগত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুর বক্তব্য শুনে স্থানীয়দেরও সহযোগিতায় অভিযুক্ত ধর্ষককে আটক করে নিয়ে আসেন।

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন- শিশু ধর্ষণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন কুমকুম মিয়াকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশী হেফাজতে তাকে ডাক্টারি পরিক্ষা করার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও মামলা করা হয়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

২ জুলাই ২০২২

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

মে ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« এপ্রিল    
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।