জামালপুরে ত্রানের তালিকা নিয়ে
জামালপুর শহরের শাহপুর এলাকায় শনিবার সন্ধ্যায় জামালপুরে ত্রাণের স্লিপের তালিকা তৈরী নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সময় টিভি ও ইন্ডিপেনন্ডেন্ট টিভির ক্যামেরাপার্সনসহ উভয়পক্ষের ২০ জন আহত। সেই সাথে তাদের ক্যামেরা ভাংচুর করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মূলত ত্রাণের স্লিপকে কেন্দ্র করে ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন এবং ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন সেতুর মধ্যে বিরোধ এর জের ধরে শনিবার সন্ধ্যায় দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংর্ঘষে লিপ্ত হয়। সংর্ঘষে উভয় পক্ষের ১৮ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩ রাউন্ড ফাকা গুলিবর্ষণ করে।
এসময় দায়িত্ব পালনকালে হেলাল কাউন্সিলরের ছেলে অন্তরের নেতৃত্বে সময় টিভির ক্যামেরাপার্সন আবুল কালাম আজাদ ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির ক্যামেরাপার্সন আল-আমিনকে মারধর করে তাদের ক্যামেরা ভাংচুর করে। গুরুতর আহত সময় টিভির ক্যামেরাপার্সন আবুল আজাদকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে অপর দিকে ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির ক্যামেরাপার্সন আল আমিন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্মস্থলে ফিরে আসেন।
মূলত ত্রাণের স্লিপর হেলাল কমিশনার অনেক দিন যাবত নিজের আত্মীয় স্বজনদের নাম দিয়ে দূর্ণীতি করে আসছে। এছাড়া ত্রাণের তালিকায় গরীব দূখীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য টাকাও নিয়েছেন তিনি। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে হেলাল কমিশনার ও তার দলবল তাকে মারধর করে। এসময় দুই জন ক্যামেরাপার্সনকেও মারধর করা হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।
কাউন্সিলর হেলাল জানান-কেন এমন হল তা সঠিক বলতে পারে নাই । আর ঘটনার সময় কয়েক’শ লোক থাকায় কে বা কারা ক্যামেরাপার্সনদের মারধর করেছে সে বিষয়েও তার জানা নেই বলে তিনি দাবি করেন।
ক্যামেরাপার্সনদের মারধর ও ক্যামেরা ভাংচুরের ঘটনাসহ পৃথকভাবে ৩টি মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সালেমুজ্জামান জানান- মামলা দায়েরের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।