• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
দেশিয় ফলের গুনাগুণ

একেক ফলের রয়েছে একেক পুষ্টিগুণ। প্রতিটি মৌসুমি ফলই শরীরের নানা রকম ভিটামিন ও খনিজের অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে।

 

 

কাঁঠাল একটি সুস্বাদু রসালো ফল। এর রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা। জাতীয় এই ফল দেশের প্রায় সব জেলাতেই কম-বেশি হয়। তবে ঢাকা জেলার গাজীপুর, টাঙ্গাইল, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, ময়মনসিংহ ও নরসিংদী এলাকায় কাঁঠাল বেশি জন্মে। গাজীপুরে রয়েছে এই ফলের সবচেয়ে বড় বাজার। কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর শর্করা, আমিষ ও ভিটামিন-এ। কাঁচা কাঁঠাল তরকারি হিসেবে আর পাকলে ফল হিসেবে খাওয়া যায়। এর দানা ভেজে কিংবা রান্না করে খেতেও মজা। কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর ভেষজগুণ। এর শাঁস ও দানা চীনে বলবর্ধক হিসেবে বিবেচনা করে। ফলটি সাধারণত জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাসে পাকে। কাঁঠালে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন-এ, সি, বি-১, বি-২, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামসহ নানা রকমের পুষ্টি ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। এসব উপাদান আমাদের শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি ভিটামিনের চাহিদাও পূরণ করে কাঁঠাল। কাঁঠালে সামান্য পরিমাণ প্রোটিনও পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা কাঁঠালে ১.৮ গ্রাম, কাঁচা কাঁঠালে ২০৬ গ্রাম ও কাঁঠালের বীজে ৬.৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এই প্রোটিন দেহের গঠনে সাহায্য করে। কাঁঠালে রয়েছে শ্বেতসার। পাকা কাঁঠালে ০.১ গ্রাম, কাঁচা কাঁঠালে ০.৩ ও কাঁঠালের বীজে ০.৪ গ্রাম শ্বেতসার পাওয়া যায়। কাঁঠালে ভিটামিন-এ পাওয়া যায়। ভিটামিন-এ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কাঁঠালের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান চোখের রেটিনার ক্ষতি প্রতিরোধ করে। কাঁঠালে ভিটামিন-বি-১ ও বি-২ পাওয়া যায়। পাকা কাঁঠালে ০.১১ মিগ্রা, কাঁচা কাঁঠালে ০.৩ মিগ্রা ও কাঁঠালের বীচিতে ১.২ মিগ্রা বি-১ পাওয়া যায়। পাকা কাঁঠালে ০.১৫ মিগ্রা, কাঁচা কাঁঠালে ০.৯ মিগ্রা এবং কাঁঠালের বীচিতে ০.১১ মিগ্রা বি-২ পাওয়া যায়। কাঁঠালে রয়েছে ভিটামিন-সি। পাকা কাঁঠালে ২১ মিগ্রা, কাঁচা কাঁঠালে ১৪ মিগ্রা এবং কাঁঠালের বীজে ১১ মিগ্রা ভিটামিন-সি পাওয়া যায়, জানিয়েছেন ফারাহ মাসুদা। কাঁঠালে কিছু পরিমাণ আয়রন পাওয়া যায়। পাকা কাঁঠালে আয়রনের পরিমাণ ০.৫ মিগ্রা, কাঁচা কাঁঠালে ১.৭ মিগ্রা এবং বীজে ১.৫ মিগ্রা। চাহিদা অনুযায়ী আয়রন গ্রহণ করে পেটের অসুখ, সংক্রামক রোগ, যেমন- ম্যালেরিয়া, কৃমি, আলসার, রক্ত আমাশয় ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। কাঁঠালে রয়েছে পটাশিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তাছাড়া সঠিক পরিমাণে কাঁঠাল খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকিও অনেকটা কমে যায়। কাঁঠালের হলুদ ও রসালো অংশে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদান। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেরও একটি ভালো উৎস। কাঁঠাল হজমে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিহত করে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

ডিসেম্বর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« নভেম্বর    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।