• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন শামসুল হক ভোলা মাস্টার

ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ্যাডভোকেট শামসুল হক ভোলা মাষ্টার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। রবিবার (৪ অক্টোবর) জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন।

এ্যাডভোকেট শামসুল হক ভোলা মাষ্টার ফরিদপুর জেলা পরিষদের দ্বিতীয় নির্বাচিত চেয়ারম্যান। এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন মৃধা। গত ১০ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লোকমান হোসেন মৃধা । ফলে চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়ে যায়।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচন হওয়ার দিন ধার্য ছিল আগামি ২০ অক্টোবর। গত শনিবার ছিল এ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ওই দিন এ্যাডভোকেট শামসুল হক ভোলা মাষ্টার এ পদে একক প্রার্থী থাকায় তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হলো।

এ্যাডভোকেট শামসুল হক ভোলা মাষ্টার বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য। এর আগে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
তার বর্তমান বয়স ৭১ বছর। তিনি ফরিদপুর সদরের চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের কসিমউদ্দীন ব্যাপারীর ডাঙ্গী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ওই গ্রামের মৃত নাসিরউদ্দিন ব্যাপারী ও হাজেরা খাতুনের ছেলে শামসুল হক। ছয় ভাই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়।
এ্যাডভোকেট শামসুল হক ভোলা মাষ্টার ফরিদপুর শহরের হাবেলী গোপালপুরস্থ বাড়িতে বসবাস করেন। তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা। তার বড় মেয়ে শামসুন্নাহার বর্তমানে গাজীপুরের পুলিশ সুপার। ছোট মেয়ে কামরুন্নাহার ফরিদপুর সদরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। তার বড় ছেলে আমিনুল হক যুক্তরাষ্ট্রের লুজিয়ানা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোলোশিপ করছেন। ছোট ছেলে আমীরুল হক তুহিন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী।
এ্যাডভোকেট শামসুল হক ভোলা মাষ্টার জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে তিনি আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। ১৯৮৫ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালের কাউন্সিলে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামসুল হক বলেন, জনগণের অনেক প্রত্যাশা আমার কাছে, জেলা পরিষদের কাছে। তবে আমার কাজ হচ্ছে জেলা পরিষদের সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে সততার সাথে জেলার সর্বোচ্চ উন্নয়নে ভূমিকা রাখা।
প্রসঙ্গত, চেয়ারম্যান পদের এ উপ নির্বাচনে গত ২৩ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে মোট তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এ্যাডভোকেট শামসুল হক ভোলা মাষ্টার, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম মিয়া এবং সরকারি ইয়াছিন কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুল আজিজ।
গত ২৬ সেপ্টেম্ববর মনোনয়নপত্র বাছাইকালে সেলিম মিয়ার মনোনয়নপত্রটি বাতিল হয়ে যায়। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল আজিজ গত ২৮ সেপ্টেম্বর তার মনোনয়নপত্রটি প্রত্যাহার করে নেন।
জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন গত শনিবার ৩ অক্টোবর। ওইদিন এ পদে এ্যাডভোকেট শামসুল হক ভোলা মাষ্টার একক প্রার্থী থাকায় রবিবার তাকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত গোষণা করে প্রজ্ঞাপন জাারি করা হয়।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।