• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
করোনায় স্কুল খোলা না গেলে এ বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে না

করোনায় স্কুল খোলা না গেলে এ বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে না

করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল খোলা না গেলে এ বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। তবে অক্টোবর বা নভেম্বরে যদি বিদ্যালয় খোলে, তাহলে মূল্যায়নের জন্য দুই ধরনের চিন্তা আছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অনেক কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে
যেতে পারে। এ জন্য শিশুরা যাতে ঝরে না পড়ে, সে জন্য ওইসব এলাকার (ক্যাচমেন্ট এরিয়া) প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেন তাদের ভর্তি করা হয় সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাক্ষরতা দিবসের তথ্য তুলে ধরেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। তিনি জানান, বর্তমানে দেশে স্বাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ। যা ২০০৫ সালে ছিল ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ। শিশুদের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেটা দেখে তারা এগোচ্ছেন। অক্টোবর ও নভেম্বর মাথায় নিয়ে দুটি পরিকল্পনা আছে। যদি অক্টোবরে বিদ্যালয় খোলে, তাহলে এক ধরনের চিন্তা। যদি নভেম্বরে খোলে তাহলে মূল্যায়নের জন্য আরেক ধরনের চিন্তা আছে। আর যদি বিদ্যালয় না খোলা যায়, তাহলে অবশ্যই পরীক্ষা হবে না।
সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, এখন যেহেতু বিদ্যালয় বন্ধ, তাই শিশুদের বাড়িতে মিড ডে মিলের বিস্কুট পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যালয় খোলার আগে প্রতিটি বিদ্যালয় পরিকল্পনা করবে। করোনার কারণে ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এ কারণে এ বছরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, এ বছর নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মূল্যায়নের ভিত্তিতে ওপরের ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হবে।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে আগামী নভেম্বর মাসেও যদি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা না যায়, তাহলে শিক্ষার্থীদের এবার মূল্যায়ন ছাড়াই পরবর্তী ক্লাসে তুলে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না বলে মনে করছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম-আল-হোসেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, অক্টোবর বা নভেম্বরে যদি স্কুল খোলা যায়, তাহলে আলাদা দুটি পরিকল্পনা করা আছে। যদি স্কুল খোলা যায়, তবে মূল্যায়নের বিষয়ে একটা ব্যবস্থা নিতে পারব। আর না হলে তো আপনারা বোঝেনই। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নিজের শৈশবে স্বাধীনতা যুদ্ধের বছরের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, একাত্তর সালে আমি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। তখন বই পেতে মার্চ মাস হয়ে যেত। মার্চে বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে স্কুল, কলেজ, আদালত সব বন্ধ করে দিলেন। মার্চ থেকে তো বই নেই। আমরা ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে স্কুলে গিয়েছি, সেভেনে আমাদের উঠিয়ে দিয়েছে, সমস্যা নেই।
এ অবস্থায় নভেম্বর মাসেও বিদ্যালয় খোলা না গেলে শিক্ষার্থীদের ‘অটোপাস’ দেওয়া হবে কি না সাংবাদিকরা সেই প্রশ্ন করেছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এবং গণশিক্ষা সচিব আকরামের কাছে। জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অটোপাসের খবর শুনে শিক্ষার্থীরা যেন পড়াশোনা থেকে সরে না যায়, সে জন্য এখনই কোনো ঘোষণা তারা দিচ্ছেন না। সুত্র ঃ সময়ের আলো

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।