সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে খুলে রাখা দোকানের ছবি তোলায় রাজশাহীর তিন ফটোসাংবাদিক এবং একজন রিপোর্টারকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী শাখার সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাদী হয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলায় দুইজনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর সাহেববাজার এলাকায় চার সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা হয়। ঘটনার পর সাংবাদিকেরা প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে সাংবাদিকরা উঠে আসেন।
লাঞ্ছিত তিন ফটোসাংবাদিক হলেন- দৈনিক প্রথম আলোর শহীদুল ইসলাম দুখু, দৈনিক যুগান্তরের আজম খান এবং স্থানীয় দৈনিক রাজশাহী সংবাদের মোখলেসুর রহমান মুকুল। তারা প্রত্যেকে রাজশাহী ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। আর রিপোর্টারের নাম মোস্তাফিজ রকি। তিনি রাজশাহীর অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলার জনপদে কাজ করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ওই চার সাংবাদিক সাহেববাজার কাপড়পট্টি দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তখন তারা দেখেন, সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিভিন্ন দোকানপাট খুলেছে। এ সময় ছবি তোলার জন্য তারা রোজ কসমেটিকস সেন্টার নামের একটি দোকানের সামনে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দোকান মালিক নুরুজ্জামান রুবেল ও তার কর্মচারী মিঠু সাংবাদিকদের গালাগাল দিতে শুরু করেন।
এ সময় ফটোসাংবাদিক মুকুল গালিগালাজ করতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেল ও মিঠু চার সাংবাদিককেই শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় আশপাশের লোকজন তাদের রক্ষায় এগিয়ে এলে তারা দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান। এ মামলায় রুবেল এবং মিঠুকেই আসামি করা হয়েছে। মিঠুর বাড়ি নগরীর আলুপট্টি এলাকায়। আর রুবেলের বাড়ি কিশোরগঞ্জ। রাজশাহীতে ভাড়া থাকেন।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার পর সাংবাদিকরা রাস্তা অবরোধ করে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। পরিস্থিতি শান্ত করতে তাদের থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়। পরে বিক্ষোভ তুলে তারা থানায় এসে মামলা করেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।