• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
ফরিদপুরে ডাল ফসলের আধুনিক উৎপাদন কলাকৌশলের উপর কৃষক প্রশিক্ষণ ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

নিরঞ্জন মিত্র(নিরু)(ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) অধীনে ফরিদপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগ (সগবি) এর সহযোগিতায় এবং মাদারীপুর আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্র (বারি) এর আয়োজনে, মাদারীপুর আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্রের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বৃহত্তর বরিশাল, ফরিদপুর অঞ্চলে ডাল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের অর্থায়নে, গত (৫ জানুয়ারি) বুধবার ফরিদপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগ (সগবি) ডাল ফসলের আধুনিক উৎপাদন কলাকৌশলের উপর কৃষক প্রশিক্ষণ এবং চরভদ্রাসনের চরহোসেনপুরে বিনা চাষে বারি মাস-৩ ও ৪ এর উৎপাদন কার্যক্রমের উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উভয় দুইটি মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ত্ব করেন ফরিদপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগ (বারি) এর অঞ্চল প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম আহম্মেদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পাবনা ঈশ্বরদী ডাল গবেষণা কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. মহি উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. মো. ছালেহ উদ্দিন।

আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর ডাল গবেষণা উপ-কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও উপ প্রকল্প পরিচালক ড. এ কে এম মাহাবুবুল আলম, মাদারীপুর আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নন্দ দুলাল কুন্ড, মো.মামুনূর রশিদ, শাহিন মাহমুদ ও মসলা গবেষণা উপকেন্দ্রের মো. মুশফিকুর রহমান সহ সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক সহকারী ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে মোট ২৫ জন কৃষক ও কিষাণী অংশগ্রহন করেন। কৃষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে কারিগরী পর্বে পাওয়ার পয়েন্ট এর মাধ্যমে তাত্ত্বিক উপস্থাপনা দেখানো হয়।

ডাল ফসলের আধুনিক প্রযুক্তি যেমন নতুন নতুন ফসলের সংযোজন, কৃষিতাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা যেমন সার, সেচ ও আন্তঃপরিচর্যা, বালাই ব্যবস্থাপনা এবং ফসল সংগ্রহ প্রযুক্তি সম্পর্কে বিভিন্ন বক্তা আলোচনা করেন।

আমন্ত্রিত অতিথিসহ কৃষকবৃন্দ বারি উদ্ভাবিত বারি মাস-৩ ও ৪ এর মাঠ পরিদর্শণ করেন। বারি মাস-৩ ও ৪ এর উৎপাদন কার্যক্রমের উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে ৮০ জন কৃষক কিষানী অংশগ্রহন করেন।

কৃষকেরা সাধারণত স্থানীয় জাতের মাসকলাই’র আবাদ করে থাকে যার ফলন কম এবং রোগ ও পোকামাকড়ের পরিমাণ বেশী। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত বারি মাস-৩ (হেমন্ত) জাতটির ফলন শতকে প্রায় ৬ কেজি যার দ্বারা বারি উদ্ভাবিত এ জাতসমূহ কৃষক পর্যায়ে আবাদ করে দেশে ডালের ঘাটতি অনেকাংশে পূরণ করা সম্ভব। তাই, কৃষকেরা প্রচলিত জাতের পরিবর্তে বারি উদ্ভাবিত বারি মাস-৩ ও ৪ কে গ্রহন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রধান অতিথি সবাইকে নতুন প্রযুক্তি গ্রহন করে মাসকলাইর উৎপাদনকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য অনুরোধ করেন।

উক্ত দুইটি অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, এ.এফ.এম. রুহুল কুদ্দুস করেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।