ঢাকা, ৮ নভেম্বর, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ:
“সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির কারণে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে এবং ইপিআই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আস্থা অর্জনের মাধ্যমে দেশের মানুষকে এই কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করতে পেরেছেন”। আজ শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাস এবং ইউনিসেফ এর যৌথ আয়োজনে শিশুদের টিকাদান বিষয়ক ব্রিফিং-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি এ কথা বলেন।
চিফ হুইপ বলেন,দেশের মানুষকে টিকা দিয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুখ্যাতি কুড়িয়েছে। এই সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৯ সালে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (GAVI) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভ্যাকসিন হিরো হিসেবে পুরস্কৃত করে। এরও আগে বাংলাদেশ ২০০৯ ও ২০১২ সালে GAVI বেস্ট পারফরম্যান্স পুরস্কার লাভ করেছিল।
চিফ হুইপ বলেন, দেশে উন্নতমানে ১০ ধরনের টিকা দেওয়া হয়। শূন্য থেকে দুই বছর বয়সী সব শিশু এবং ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী সন্তান ধারণক্ষম সব নারী টিকা কর্মসূচির আওতায় রয়েছেন। ইপিআই কর্মসূচির ফলে ২০০৮ সাল থেকে মা ও নবজাতকের ধনুষ্টংকার অনেক কমে গেছে। ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে পোলিও নির্মূল সনদও লাভ করে।
চিফ হুইপ আশা প্রকাশ করেন, এই ব্রিফিং-এর মাধ্যমে আমরা টিকার গুরুত্ব এবং এক্ষেত্রে বিনিয়োগের বিষয়ে অজানা অনেক তথ্য জানবো যা নীতিনির্ধারণে আমাদেরকে সহায়তা করবে।
শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদী ককাসের সভাপতি শামসুল হক টুকু এমপি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, ডা: সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, মো: রেজাউল করিম বাবলু, আরমা দত্ত, তামান্না নুসরাত বুবলী, আদিবা আনজুম মিতা,বাসন্তী চাকমা, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, সৈয়দা রুবিনা আক্তার, ইউনিসেফ বাংলাদেশ হেলথ সেকশনের চিফ ডা: সানজানা ভরদ্বাজ এবং শিশু অধিকার নিয়ে কর্মরত ‘বাংলাদেশ প্রজন্ম সংসদ’ প্লাটফার্ম থেকে আগত শিশুরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরে।