• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
জন্মের পরই শিশু কেন কেঁদে ওঠে?

আমরা সবাই জানি যে, শিশু জন্ম নেওয়ার সাথে সাথেই উচ্চস্বরে কাঁদতে শুরু করে। শিশুর কান্নাই হল তার জন্মানোর সঙ্কেত। তবে, কিছু ক্ষেত্রে জন্মের পরে অনেক শিশুকেই কাঁদতে দেখা যায় না। শিশু জন্মের পর স্বাভাবিক নিয়মে না কাঁদলে তাকে পশ্চাদদেশে থাপ্পড় মেরে কাঁদানো হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন যে, জন্মানোর সঙ্গে সঙ্গেই শিশু কেন কেঁদে ওঠে? আর যদি না কাঁদে তাহলেই বা কী হয়? তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক জন্মানোর পর শিশুর কান্নাকাটি করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

কেন জন্মানোর সঙ্গে সঙ্গেই শিশুর কান্না জরুরী?
যখন শিশু জন্ম নেয় তখন মায়ের গর্ভ থেকে আলাদা হয়ে যায়। জন্মের পরে যখন শিশু প্রথমবার চিৎকার করে কেঁদে ওঠে, তখন বোঝা যায় যে তার ফুসফুস এবং হার্ট ঠিকঠাক কাজ করছে। কান্নার ফলে শিশুর স্বাস্থ্য সম্পর্কে বোঝা যায়। শিশু যদি খুব জোরে কেঁদে ওঠে, তার অর্থ হল সে সুস্থ আছে। আর, শিশুটি যদি খুব ধীর গলায় কান্নাকাটি করে, তাহলে কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।

এই কারণে শিশুরা কাঁদে
জন্মের আগে অবধি শিশু মায়ের দেহের সঙ্গে সংযুক্ত আম্বিলিক্যাল কর্ড বা নাভিরজ্জুর মধ্য দিয়ে শ্বাস নেয়। জন্মের কয়েক সেকেন্ড পরে শিশু নিজে থেকেই শ্বাস নেয়। শিশু যখন গর্ভের বাইরে আসে তখন শরীরের বিভিন্ন ফ্লুইড নিঃসরণের ফলে আটকে যায় হৃদপিণ্ডের শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ। তখন শিশু চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে। এই কান্নার ফলেই পরিষ্কার হয়ে যায় শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ। তারপর, শিশু স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারে।

শিশুর কতক্ষণ কাঁদা উচিত
এক্ষেত্রে অনেকগুলি গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, স্বাস্থ্যকর শিশুর একদিনে বা ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা কাঁদা উচিত। তবে, যদি শিশু চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কান্নাকাটি করে, তখন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। শিশু বড় হওয়ার সাথে সাথে তার কান্নার সময়ও কমতে শুরু করে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

ডিসেম্বর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« নভেম্বর    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।