প্রাচীনকাল থেকেই গ্রাম-বাংলার মানুষ বিভিন্ন মসলা দিয়ে বাহারি খাবার তৈরি করে খাওয়ার অভ্যাস। এসব মসলা অধিকাংশ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। পুষ্টি বিজ্ঞনীদের তথ্যমতে, একজন মানুষের প্রত্যহ খাবারের সাথে ৫৪.২৫ গ্রাম বিভিন্ন প্রকার মসলা প্রয়োজন হয়। এসব মসলা বাড়ির আঙ্গিনায় চাষ করেই পারিবারিক চাহিদা মিটানো যায়। কিন্তু এ মসলার অধিকাংশই বিদেশ থেকে আমদানি করে চাহিদা মিটাতে হয়।
উল্লেখিত সার্বিক বিষয় নিয়ে, বাংলাদেশে মসলা জাতীয় ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্প এর অর্থায়নে, ফরিদপুর মসলা গবেষণা উপকেন্দ্র ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ফরিদপুরের সহযোগিতায় আজ ১০ জুন বেলা ১১ টায় ফরিদপুর মসলা গবেষণা উপকেন্দ্রের প্রশিক্ষণ হলে, ‘মসলা জাতীয় ফসলের উন্নত উৎপাদন কলাকৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষণ এবং পাতা পেয়াজের চারা বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জেলার সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন এনজিওর কৃষি বিষয়ক কর্মকর্তা সহ মোট ৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
আধুনিক পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন পিঁয়াজ ও বীজ উৎপাদন ছাড়াও রসুন, মরিচ, আদা, হলুদ, ধনিয়া, বিলাতি ধনিয়া, আলুবোখারা, দারুচিনি, তেজপাতা, কালোজিরা, মেথী, গোলমরিচ উৎপাদনের উন্নত কলাকৌশল সম্পর্কে প্রশিক্ষণার্থীদের অবহিত করার মধ্য দিয়ে ফরিদপুর অঞ্চলের কৃষদের মসলা চাষে আগ্রহী করে তোলাই প্রশিক্ষণের মুখ্য উদ্দেশ্য।
প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন-ফরিদপুর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ডঃ মোঃ রিফাতুল হোসাইন।
সভাপতির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট বগুড়ার মসলা গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডঃ মোঃ হামীম রেজা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন কৃষিবিদ কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ফরিদপুর, ড. মো. আলাউদ্দীন খান, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, মসলা গবেষণা উপকেন্দ্র, ফরিদপুর।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত নিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মো. মুশফিকুর রহমান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, মসলা গবেষণা উপকেন্দ্র, ফরিদপুর।