• ঢাকা
  • রবিবার, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং
শিশু যখন মিথ্যা বলে

শিশু যখন মিথ্যা বলে

সচেতনভাবে করে তা নয়। প্রথম প্রথম হয়তো খুব হালকাভাবে শিশু মিথ্যা বলে। কিন্তু বাঁধা না পেলে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে মিথ্যা বলার পরিমাণ। তখন সেটা একটা সমস্যা তৈরি করতে পারে। এ কারণে শুরু থেকে শিশুদের মিথ্যা বলার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা উচিত।

শিশুর মিথ্যা বলার অভ্যাস কমাতে যা করবেন-

১. মিথ্যা বলা যে খারাপ এটা শিশুদের বোঝাতে হবে। আর সত্যিটাই যে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এটাও বোঝাতে হবে। মিথ্যা বললে তাকে কেউ পছন্দ করে না, তার সঙ্গে খেলে না, তাকে কেউ ভালোবাসে না- এমন একটা ধারণা শিশুদের মনে গেঁথে দিতে পারলে মিথ্যা বলা সেও অপছন্দ করবে।
২ . শিশুরা অনেক সময় ভয় পেয়ে মিথ্যার আশ্রয় নেয়। শিশু কেন মিথ্যে বলছে সেটা আপনাকে বুঝতে হবে। ঘটনাটা যত খারাপই হোক না কেন, সত্যি বললে আপনি তাকে কিছু বলবেন না এই আশ্বাস দিন। সে যদি প্রথমে মিথ্যা বলে, তারপর সত্যিটা স্বীকার করে, তাহলে তাকে পুরস্কার দিন। সেক্ষেত্রে শিশু সত্যি বলার উৎসাহ পাবে।
৩. মিথ্যা বললেই শিশুকে শাস্তি দেবেন না। বরং তাকে সাবধান করুন। সেই সঙ্গে এটাও পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিন, আপনার কথা না শুনলে কী কী শাস্তি সে পেতে পারে।
৪. সাবধান করার পরেও শিশু আবার মিথ্যে বললে, তাকে শাস্তি দিন। সেটা শারীরিক শাস্তি কিংবা অতিরিক্ত বকাবকি করে নয়। বরং সেক্ষেত্রে তার খুব পছন্দের কোনও জিনিস (খেলনা, বা রং পেন্সিলের সেট) নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তার থেকে দূরে সরিয়ে রাখুন।
৫. মিথ্যা বলার পর যদি সে সত্যিটা স্বীকার করে নেয়, তাহলে তাকে যতটা পুরস্কার দেবেন বলে জানিয়েছিলেন, তার চেয়ে বেশি কিছু দিন। তাতে তার বিশ্বাস বাড়বে।
৬. যদি দেখেন কোনও ভাবেই বাচ্চার মিথ্যা বলার অভ্যাস বন্ধ করা যাচ্ছে না, তাহলে মনোবিদের পরামর্শ নিন।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

সেপ্টেম্বর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« আগষ্ট    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।