জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের
দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলায় আত্রাই নদীর ত্রিবেনী তীর্থ স্থান ও মহা শ্মশানঘাট এলাকায় অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে ঝঁুকিতে রয়েছে তীর্থ স্থান, শ্মশানঘাট ও রেল ব্রিজ।
সোমবার দুপুরে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক বরাবর চিরিরবন্দর উপজেলার ৭নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের গলাহার ত্রিবেনী তীর্থ স্থান ও মহাশ্মশান ঘাট পরিচালনা কমিটির সভাপতি যোগেশ চন্দ্র রায় ও সাধারণ সম্পাদক সুবাশ চন্দ্র রায় স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়। অভিযোগটিতে ৪৯৩ জন এলাকাবাসী স্বাক্ষর করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, ত্রিবেনী তীর্থ স্থান ও মহাশ্মশানঘাটের পাশ দিয়ে আত্রাই নদীর বালু মহলের ইজারা গ্রহণ করেছেন একজন। নিম্ন তফশীল ভুক্ত সম্পত্তি বাংলাদেশের অরক্ষিত একমাত্র ত্রিবেনী তীর্থ স্থান ও মহা শ্মশান ঘাটের নিজস্ব সম্পত্তি। যা সনাতন ধর্মী ব্যক্তিদের তীর্থস্থান ও মৃত্যুর পরবর্তীতে সৎকারের জন্য ঐতিহাসিক স্থান। তীর্থ স্থানটি কাউগঁাও রেল ব্রীজ থেকে আনুমানিক ২০০ ফুট উত্তর পাশ্বে। উক্ত সম্পত্তিতে ইজারাদার অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০ ফুট গভীর করে বালু উত্তোলন করছে। যা রেলওয়ে কাউগঁাও ব্রীজ চরম ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের তথা সনাতন ধর্মীয় ব্যক্তিদের তীর্থস্থান ও মহা শ্মশানঘাট বিলুপ্তির সম্মুখিন হচ্ছে। এলাকাবাসীসহ ত্রিবেনী তীর্থ স্থান ও মহা শ্মশানঘাটটির কর্মকর্তা ও ৭নং আউলিয়াপুর ইউপি পুজা উদ্যাপন পরিষদের কর্মকর্তারা বাধা দিয়েও ইজারাদার কোন প্রকার কর্ণপাত করছে না। গত ৬ মে সকাল ১০টায় আমরা ইজারাদারের উক্ত বেআইনী কাজে অনুরোধ করে বাধা দিলে ইজারাদারের লোকজন আমাদেরকে প্রাণনাশসহ চরম শান্তি ভঙ্গের হুমকী প্রদান করছে।
অভিযোগ পত্রে রেলওয়ের সম্পদ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ব্যক্তিদের তীর্থস্থান ও মহা শ্মশানঘাট রক্ষাসহ অভিযুক্ত ব্যক্তি ও সংশ্লিষ্টদের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।