আরিফুজ্জামান চাকলাদার আপেল,আলফাডাঙ্গা :-

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ডে কুসুমদি গ্রামে রাজ্জাক মোল্লার ছেলে রিপন(২৪)মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দফায় যৌতুকের দাবি পূরণ না করায় ও দ্বিতীয় বিবাহ প্রতিবাদে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ তুলেছে এক সন্তানের জননী খাদিজা।

খাদিজা(১৭)একই উপজেলায় বানা ইউনিয়নে বেলবানা গ্রামের আততাব বিশ্বাসের মেয়ে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে খাদিজার সাথে রিপন মোল্লার সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে যৌতুক লোভী জামাই(রিপন),তার মা আয়েশা বেগম,বাবা রাজ্জাক মোল্লা,ভাশুর রমজান যৌতুকের দাবি করে আসছে। মেয়ের সুখের কথা ভেবে বিভিন্ন দফায় ধার দেনা,গরু ছাগল বিক্রি করে নগদ টাকা ও স্বর্নলংকার দেই।বিভিন্ন কৌশলে টাকা নিয়ার জন্য খাদিজাকে চাপ দেয়,টাকা দিতে অস্বীকার করায় বিভিন্ন সময় মারধর করে।ঐগ্রামে একবার স্হানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি নিয়ে সালিশ মিমাংসা হয়।মিমাংসা কিছু দিন পরে যৌতুক চেয়ে মেয়েকে টাকার জন্য চাপ দেয়।

খাদিজা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, বিবাহের পর থেকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয় ঐ পরিবার।চাহিদা মতো টাকা না আনায়,আমার স্বামী মধুনগর গ্রামে রমজান মোল্লার মেয়ে(দুই বিবাহিত) অন্তরা সাথে পরকীয়া করে বিবাহ করে।মোবাইলে আপত্তিকর ছবি দেখে প্রতিবাদ করায় আমার উপর পরিবারের সবাই মিলে শারীরিক নির্যাতন করে।প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে আমার ১০ মাসের কোলের বাচ্চাকে নিয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে।ওই পরিবার থেকে আমার কোলের বাচ্চাকে কোন কাপড় চোপড় দেয়নি বলে আবারো কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন,ছেলেকে খালি গায়ে রাখতে হচ্ছে। যৌতুক লোভী স্বামী,শশুড়,শশুড়ি,ভাশুর আমার উপর শারীরিক নির্যাতনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।

দশ মাসের কোলের বাচ্চা কোথায় ঠাই পাবে এ নিয়ে মিশ্র মন্তব্য করেছে প্রতিবেশীরা।

খাদাজার মা খালেদা বেগম বলেন,থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে,সরকারের কাছে আবেদন মেয়ে খাদিজার উপর বিয়ের পর থেকে অত্যাচারের ন্যায্য বিচার চাই।
এদিকে রমজান মোল্লার মুঠোফোনে(০১৭৮৫৯২৫২১০) বার বার কল দিলে রিসিভ করেনি।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদক কে জানান,খাদিজার শারীরিক আঘাতের চিহ্ন ও চিকিৎসাধীন আছে।